বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গুপ্তহত্যা বন্ধে জনগণকে হাতে লাঠি নিয়ে ‘প্রতিরোধ বাহিনী’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
আজ শুক্রবার বিকালে শাহবাগে এক সমাবেশে তিনি বলেন, “৬৮ হাজার গ্রামে লাঠি হাতে নিয়ে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলুন। সেটা করতে পারলে আমরা এই অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হব।”
জনগণকে লাঠি হাতে নেওয়ার আহ্বানের কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমরা সরকারের কার্যক্রমে ১৬ আনা ভরসা করতে পারছি না। কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কোন দেশে এসব না হয়? আজকে তাকেই স্বীকার করতে হচ্ছে, এখানে জেএমবি আছে, আনসারউল্লাহ বাংলা টিম আছে।
“কিন্তু আরেকটা নতুন প্রশ্নও তিনি উত্থাপন করেছেন- এটা হোম মেইড সন্ত্রাসী, এটা বিদেশ থেকে আইএস দ্বারা পরিচালিত নয়। আমি তাকে বলতে চাই, বিদেশে তৈরি না হয়ে যদি দেশের মাটি থেকে তৈরি হয় সেটা কি কম বিপজ্জনক না বেশি? আমি তো মনে করি, সেটা আরও বেশি বিপজ্জনক।”
‘খুন-ধর্ষণ-জঙ্গিবাদবিরোধী গণআন্দোলন’র ব্যানারে শাহবাগে এই সমাবেশ হয়।
আওয়ামী লীগ সাত বছর ক্ষমতায় এলেও জঙ্গিবাদ নির্মূল না হওয়ার পিছনে এই সরকারের ‘সদিচ্ছার অভাবকে’ দায়ী করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সেলিম।
“আর প্রধানমন্ত্রিত্ব রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক শক্তিকে খুশি রাখার জন্য আপনি জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে তলে তলে লাইন করে বসে থাকবেন, সেটা দিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, সেই অবস্থাতে অবধারিতভাবেই দাঁড়াবে।”
এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার তদন্ত নিয়েও ‘একটা খেলা চলেছে’ বলে মন্তব্য করেন কামাল লোহানী।
তিনি বলেন, “এরমধ্যে পরকীয়া ঢুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কী অদ্ভূত ব্যাপার! যে মানুষটি জঙ্গিদের ধরার জন্য কয়েকটি সফল অভিযান করে গেল, তার স্ত্রী এমনভাবে খুন হলেন- তাকে নিয়ে পর্যন্ত খেলা হচ্ছে। তার মানে পুলিশ কিন্তু তার নিজের লোককেও রক্ষা করতে পারছে না। কী অদ্ভূত কাণ্ড-কারখানা!”
“আপনারা পারছেন না কেন? বাধা কোথায়?,” পুলিশ সদস্যদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল কাফি রতনের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি আসলাম খান, ক্ষেতমজুর সমিতি নেতা মোতালেব খান, কৃষক সমিতির জাহিদ হোসেন খান, প্রগতি লেখক সংঘের সংগঠক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকি আক্তার বক্তব্য দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এস