বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মোবাইল সুবিধা বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আজ রবিবার বিটিআরসি’র উপপরিচালক নাহিদুল হাসান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শুরু থেকেই মোবাইল সুবিধা না দিতে সব মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও ক্যাম্পে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর হাতে সিম ও রিম ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়।
এ বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিম বিক্রি এবং মোবাইল সুবিধা না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সব মোবাইল অপারেটরকে জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি’র নির্দেশনায় যা বলা আছে:
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে মোবাইল সুবিধাদি না পায় তা নিশ্চিত করতে আপনাদের সংস্থাসমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিশন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকারী কমিটি এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাপক হারে সিম/রিম ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে।
এ অবস্থায় আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনও প্রকার সিম বিক্রি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সিম ব্যবহার বন্ধ তথা মোবাইল সুবিধাদি না দিতে সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বিটিআরসিকে জানানোর অনুরোধ জানানো হলো।
কীভাবে সিম পায় রোহিঙ্গারা
দেশে মোবাইল সিম কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপির মতো পরিচয় ও ছবিযুক্ত আইডি কার্ড দরকার হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় তথ্যাগারের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মেলার পরেই একজনের নামে সিম বিক্রি করা হয়ে থাকে।
তাহলে রোহিঙ্গারা সিম কিনছেন কীভাবে?
জানা যায়, প্রথম দিকে যখন রোহিঙ্গারা আসে, তখন বিভিন্ন এনজিও তাদের নানারকম খাদ্য ও দরকারি সামগ্রীর পাশাপাশি মোবাইল ও সিম কার্ড দিয়েছে। তখন অনেক কোম্পানির লোকজন ক্যাম্পে সিম বিক্রি করেছে।
পরবর্তীতে কড়াকড়ি আরোপ করার পরে বাংলাদেশি নানা ব্যক্তির সঙ্গে টাকাপয়সার চুক্তিতে তাদের নামে সিম কেনা হয় বা সিমের মালিকানা দেয়া হয়। কিন্তু সেসব সিম ব্যবহার করেন রোহিঙ্গারা।
সাতবছর ধরে বাংলাদেশে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন রোহিঙ্গা জানান, তিনি বাজার থেকেই সিম কিনেছিলেন।
কিন্তু এনআইডি আর আঙ্গুলের ছাপের কড়াকড়ি আরোপ করার পরে বাংলাদেশি একজনের পরিচয় পত্র দিয়ে সিমটি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেন। এখনো তিনি সেটি ব্যবহার করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ