কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রেললাইন থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম শাম্মী আক্তার ওরফে সামিয়া (২০)। তিনি কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকার সাইদুল ইসলামের মেয়ে। টিকটক ভিডিও তৈরি করতেন তিনি।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পোড়াদহ রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) তন্ময় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘নিহত তরুণীর নাম শাম্মী আক্তার। আজ দুপুরে তার আনোয়ার হোসেন ও ছোট বোন সাদিয়া খাতুন মরদেহটি শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
১২ নভেম্বর রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের দড়ি মালিয়াট এলাকার রেললাইনের ওপর থেকে শাম্মীর মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তবে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন না কী তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
শাম্মীর মা হাসিনা খাতুন বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের দড়ি মালিয়াট গ্রামের ফুফু মোছা. কাঞ্চন খাতুনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিল সে। কিন্তু রাত ৮টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এরপর সকালে একটা মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে যাই। সেখানে মেয়ের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাই।’
তিনি দাবি করেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে শাম্মীর ফুফু মো. কাঞ্চন খাতুন বলেন, ‘শনিবার সামিয়া আমাদের বাড়িতে যায়নি। রাতে আমাদের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূর থেকে এক মরদেহ পাওয়ার খবর শুনেছিলাম।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেললাইনের কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের দড়ি মালিয়াট গ্রামের সিএমবি রেলগেট এলাকায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে রদেহ উদ্ধার করে ।
কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিক বলেন, ‘মেয়েটি আমার এলাকার। সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো বলে জানা গেছে। তবে তার মৃত্যু রহস্যজনক। সঠিক তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।’
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ