যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে গত দুইদিনে ২০৬ জন বন্দি বিনিময় হয়েছে। এই উদ্যোগে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশের ১০৩ জন করে বন্দি স্বদেশে ফেরত গেছেন। এতে মধ্যস্থতা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ঘটনার জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন তার বাহিনীর সাম্প্রতিক রাশিয়ায় অনুপ্রবেশকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত ১০৩ জন ইউক্রেনীয়কে যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই বন্দি করে রেখেছিল রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের যে ১০৩ জন সৈন্য ফিরে এসেছে, তাদের কুরস্ক অঞ্চল থেকে বন্দি করেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। গত আগস্টে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চলে আচমকা হামলা চালায় ইউক্রেন।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, আমাদের লোকগুলো বাড়িতে ফিরেছে। আমরা সফলভাবে রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে আরও ১০৩ জন যোদ্ধাকে ফিরিয়ে এনেছি। এসময় তিনি ইউক্রেনীয় বাহিনী ও বিনিময় পরিচালনাকারী দলকে ধন্যবাদ জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেনের এই বন্দি বিনিময়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। বার্তা সংস্থা ওয়াম জানিয়েছে, চলতি বছর এ ধরনের আটটি ঘটনায় মধ্যস্থতা করেছে আমিরাত।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে উভয় পক্ষ নিয়মিত বন্দি বিনিময় করে আসছে। গত আগস্টে ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আন্তঃসীমান্ত হামলা শুরুর পর শনিবারের বন্দি বিনিময় ছিল এ ধরনের তৃতীয় ঘটনা।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এর আগে দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার ভেতর ঢুকে কমপক্ষে ৬০০ সৈন্যকে বন্দি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এটি বন্দি ইউক্রেনীয়দের ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
ইউক্রেনের মানবাধিকার ন্যায়পাল দিমিত্রো লুবিনেটস দাবি করেছেন, এ পর্যন্ত ৫৭ দফায় মোট ৩ হাজার ৬৭২ জন ইউক্রেনীয়কে রাশিয়া থেকে ফিরিয়ে এনেছে কিয়েভ।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ