বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক ধরা পড়ল শিক্ষার্থীদের হাতে সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের ‘অতর্কিত হামলায়’ ১৪ নিরাপত্তা সদস্য নিহত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রীর মন্তব্য, বিব্রত সরকার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬
  • ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সুন্দরবনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানিয়েছেন, এখনও ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। পরিবেশমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে সরকার বিব্রত। তবে পরিবেশবাদিরা সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “রামপালে নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এখনও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয় নাই।”

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্প হিসেবে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে নির্মিত হচ্ছে এই ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

সুন্দরবনের ইউনেস্কো ঘোষিত হেরিটেজ অংশ থেকে ৬৯ কিলোমিটার এবং সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ‘মৈত্রী সুপার থারমাল’ নামের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রাকৃতিক প্রতিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে- এমন দাবি করে এর বিরোধিতা করছে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন।

তবে, সে আশঙ্কা নাকচ করে সরকারের পক্ষ থেকে বার বারই বলা হচ্ছে, সুন্দরবনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের নেতা মহিদুল হক খান বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া সরকার কেবল গায়ের জোরে জনমতের তোয়াক্কা না করে রামপাল বিদ্যূত কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এটা দেশবাসীর জন্য ভয়ানক পরিণতি নিয়ে আসতে বাধ্য।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশবাদী সংগঠন সুন্দরবন ওয়াচ গ্রুপের আহবায়ক গৌরাঙ্গ নন্দী বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র না নিয়ে সরকার রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করতে গিয়ে বেআইনি কাজ করছে। তাছাড়া ছাড়পত্র পেলেও প্রকল্পটি নিয়ে পরিবেশবাদী ও জনমতকে অগ্রাহ্য করা অনুচিত।

আজ জাতীয় সংসদের অদিবেশনে জাতীয় পার্টির সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট সেসমেন্ট (ই‌আইএ) প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত প্রতিষেদক পরামর্শ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।”

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না দাবি করে তিনি বলেন, “এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সুন্দরবনের ওপর স্থানীয় মানুষের নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।”

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com