বাংলা৭১নিউজ,রাজশাহী: রাজশাহীতে চুরির অপবাদে আবারও ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে নাজমুল হক (১২) নামে এক শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পুঠিয়া উপজেলা সদরের খান ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের সময় ওই শিশুর মাথার চুল কেটে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নাজমুলের পিতা হাফিজুর রহমান পুঠিয়া থানায় পাঁচজনের নামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় মামলা করেছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন পাম্পের কর্মচারী উপজেলার কৃষ্ণপুর কালিপাড়ার নজরুল ইসলাম এবং বাসচালক ভারোরা গ্রামের আক্কেল আলী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খান ফিলিং স্টেশনে অবস্থানরত বিপি পরিবহনের একটি বাসের সিডি প্লেয়ার চুরির অপবাদে মঙ্গলবার ভোর থেকে নাজমুলকে একটি ট্রাকের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন কর্মচারীরা। সকাল ১০টার দিকে ওই পাম্পের কর্মচারীরা শিশু নাজমুলকে বেধড়ক মারধর করে মাথার চুল কেটে কালি মাখিয়ে দেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদে পাম্পের কর্মচারীরা তাকে ছেড়ে দেন।
নাজমুলের পিতা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পাম্পের কর্মচারীরা আমার ছেলেকে রশি দিয়ে দীর্ঘ সময় বেঁধে রাখে। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে নাজমুলের মাথার চুল কেটে ফেলা হয় এবং কালি মাখিয়ে দেয় নির্যাতনকারীরা। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে খান ফিলিং স্টেশনের মালিক আল মামুন খান বলেন, ‘শিশু নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে আমার পাম্পের কর্মচারীরা সম্পৃক্ত না। বিপি গাড়ির চালক ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার তারাপুর গ্রামের মহিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলামকে (১২) মোবাইল ফোনের মেমোরি চুরির অপবাদে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এন