গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘চলমান রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করছে। দ্বন্দ্বের মীমাংসা যদি না হয়, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ তৈরি হবে। সেজন্য নতুন বন্দোবস্ত প্রয়োজন। আর সেটা হলো সরকারের পরিবর্তন।’
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন-সংকট উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক মুহূর্তে আছি। আগামী ২৭ তারিখ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য সমাবেশ করবো। ৫৩ বছরে দেশ যে রাজনৈতিক সংকটে নিপতিত হয়েছে, এই সমাবেশ নির্দেশ দেবে যে আমরা তা থেকে বের হতে পারব কি না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার চুরির মাধ্যমে রাষ্ট্রকে এমনভাবে সজ্জিত করেছে যে, সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানেই এখন দুর্নীতি হয়। কেউ কেউ তো বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার চলে গেলে তারা বিচারের মুখোমুখি হবে। এজন্য তারা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সবকিছুই করে।’
সরকার নির্বাচনকে দখলে রাখার সবরকম আয়োজন করেছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আরপিও করে ইসি নিজের অধীনে এনেছে। অর্থাৎ আবারো তারা ১৪-১৮ এর মতো নির্বাচন করবে। এরা ক্ষমতায় থাকলে দেশ নাগরিক কেউই নিরাপদ নয়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি