রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফেলে দিয়ে অপু ইসলাম (৩৫) নামে ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের এক নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৯ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুস শাকুর জানান, খবর পেয়ে বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকা থেকে মো. অপু ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাঁতারকুলে অপুর বাসা সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহাদৎ নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী তাকে ধরে নির্মাণাধীন ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে লিফটের ফাঁকা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।
খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে আহতাবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসক অপুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের মামা দীন ইসলাম জানান, অপুর বালু ও মাছের ব্যবসা রয়েছে। গতকাল ফুলের টবে দেওয়া পানি শাহাদাৎ নামে এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অপুকে রাতে শাহাদাৎ তার বাসায় ডেকে নিয়ে সাততলা থেকে ফেলে হত্যা করে।
তিনি আরো জানান, অপু সাঁতারকুল উত্তরপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক অপু ৪১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত সোহরাব আলম।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ