টানা বর্ষণে রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানের ২০টি স্পটে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতিরও।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড়ধসে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
পরবর্তীতে সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল সচল হয়। তবে মহালছড়ি এলাকায় সড়কের ওপর পানি থাকায় বন্ধ আছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি আন্তঃজেলা যান চলাচল। জেলার কাউখালী উপজেলার ইছামতি খাল ও কাউখালী খালে পানি বেড়ে ডুবে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর।
এদিকে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বেড়াতে আসা আড়াই শতাধিক পর্যটক আজকেও ফিরতে পারেননি। কাচালং নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি-সাজেকের একাধিক স্থানে সড়ক ডুবে যাওয়ায় পর্যটকরা গতকাল থেকে আটকা পড়েছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আপাতত সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকদের বিকল্প উপায়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজও তাদের সাজেকে অবস্থান করতে হবে। উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হলেও রাতের বৃষ্টিতে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল (বুধবার, ২১ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান ঢাকা পোস্টকে জানান, জেলায় ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও কোথাও কেও হতাহত হননি। বাঘাইছড়িতে বন্যার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রায় দুই হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
এছাড়া রাঙ্গামাটি সদরে পাহাড়ধসে ঝুঁকিতে আছেন ১ হাজার ৩৬৬টি পরিবার। প্রাণহানি এড়াতে ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম