রংপুরের কাউনিয়ায় শুভা রাণী (৪৪) নামে এক নারী স্বামীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে স্বামীও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ আগস্ট ) রাত দেড়টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার কূর্শা ইউনিয়নের ধর্মেশ্বর ড্রাইভার পাড়ায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। স্বামী রবীন্দ্রনাথ ড্রাইভার পাড়ারই গৌরাঙ্গ চরণের ছেলে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল ৯ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ওসি তদন্ত ফরহাদ মন্ডল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী রবীন্দ্রনাথের সাথে স্ত্রী শুভা রাণীর ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এসময় চিৎকার শুনে ছুটে আসেন রবীন্দ্রনাথের ছোট ভাই চেতনা এবং চাচাতো ভাই গোলাপ চন্দ্রসহ কয়েকজন এলাকাবাসী।
ভাবিকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইয়ের ছুরির আঘতে ছোট ভাই চেতনা চন্দ্রও গুরুতর জখম হন। পরে এলাকাবাসী আহত শুভা রাণী ও চেতনাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬ টার দিকে শুভারানীর মৃত্যু হয়।
এদিকে, স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর ভোর রাতেই বাড়ির গোয়াল ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রবীন্দ্রনাথ। খবর পেয়ে আজ ভোর ৭ টার দিকে কাউনিয়া থানা পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহতদের ছেলে উজ্জল চন্দ্র বলেন, বাবা (রবীন্দ্র) দুই তিন বছর ধরেই মেন্টাল (পাগল)। মাঝে মধ্যেই এরকম করতো কিন্তু গতকাল রাতে হঠাৎ মাকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। মাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার চাচা ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
বাবাকে কন্ট্রোল করতে না পেরে আমরা রাতেই ৯৯৯ কল দিয়েছিলাম। বাবার হাতে ধারালো ছুরি থাকায় আমরা তার সামনে যাইতে পারি নাই। মাকে কুপিয়ে ওই অবস্থায় বাবা গোয়াল ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তীরের সাথে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রংপুর জেলা পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি (সি সার্কেল) হোসাইন মোহাম্মাদ আবু রায়হান জানান, এরকম একটি ঘটনা শুনে আমরা সকালেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ