বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সিরিয়ায় এবার ফ্রান্সের বিমান হামলা নতুন প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে দেশ: মঈন খান নতুন বছরে ট্রাম্পের কাছে যে প্রত্যাশা জেলেনস্কির নিহত-আহতদের সহযোগিতা পেতে চিকিৎসকদের সত্যায়িত কপি লাগবে ফেনীতে বই পেল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত ২ ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ২৬৭ জন সচিবালয়ে সাবেক মন্ত্রী কামরুল আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে ‘২০২৫ সাল হবে হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অপরাধের বিচারের বছর’ সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে দেব না, এটা আমার অঙ্গীকার থার্টিফার্স্ট নাইট অনুষ্ঠানে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আহত ২ মে থেকে ফিটনেসবিহীন বাস থাকবে না : বিআরটিএ চেয়ারম্যান রূপগঞ্জে সড়কে প্রাণ গেল ৩ জনের বছরের প্রথম দিনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত নদী দখল করে মাছের ঘের, ভরাট হচ্ছে কালীগঙ্গা ২০২৪ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বছর: আসিফ মাহমুদ ইএফটি উদ্বোধন, বছরের প্রথমদিনে বেতন পেলেন এমপিও শিক্ষকরা নতুন বছরে ২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার খুলল এস আলমের বন্ধ হওয়া ৯ কারখানা ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল ইউক্রেন

যৌন হয়রানি, হাইকোর্টের নির্দেশনা কতটা প্রয়োগ হচ্ছে?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে ২০০৯ সালে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা কতটা প্রয়োগ হচ্ছে তা নিয়ে এক গবেষণার পর ফলাফলের যে চিত্র উঠে এসেছে তাকে হতাশাজনক বলে মনে করছেন গবেষক-দলের সদস্যরা।ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অ্যাকশন এইডের উদ্যোগে এই গবেষণা কর্মের ফলাফল আজ ঢাকায় প্রকাশিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়, কর্পোরেট খাত, মিডিয়া সহ পাঁচটি খাতের ২১টি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং ব্যবস্থাপকদের মধ্যে গবেষণাটি চালানো হয়েছে।অ্যাকশন এইডের পরামর্শক হিসাবে গবেষণাটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমিন।

গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, “প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০০৯ সালের গাইডলাইন এর প্রয়োগ একবারেই নাই বললে চলে। যেখানে আছে সেখানে সীমিত-ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে।” “আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একেবারেই নাই, এবং শুধু যে নাই তা নয় যাদের সেটা প্রয়োগ করার কথা তারা অনেকে এই গাইডলাইন সম্বন্ধে জানেনই না।”

মিজ ইয়াসমিন বলেন, বর্তমান যে আইনি কাঠামো আছে তাতে যৌন হয়রানি সম্পর্কে কোনও সংজ্ঞা পাওয়া যায়না।”এই আইনে যৌন হয়রানি বা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট বলতে আমরা কী বুঝি – তার একটা সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে।”

গবেষক মিজ ইয়াসমিন আরও জানান, এই গাইডলাইনে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ছিল- এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা কী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন যাতে করে যৌন হয়রানি সম্বন্ধে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়।

তার মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি ছিল তা হল – প্রত্যেকটি কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে , একটি যৌন হয়রানি বিষয়ক অভিযোগ কমিটি গঠন করতে হবে নীতিমালা অনুসারে।

কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না?

গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক তাসলিমা ইয়াসমিন জানান, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে গবেষণায় যারা ছিলেন সেখানে দেখা গেছে গাইডলাইন প্রয়োগ হয়েছে, সে ধরনের একটা কমিটিও করা হয়েছে।কিন্তু যে পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা সে তুলনায় অভিযোগের সংখ্যা একদমই সমানুপাতিক না।

“বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সীমিত সংখ্যক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এইধরনের সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট কমপ্লেইন কমিটি আছে। কিন্তু দু-একটি ছাড়া বাকিগুলো একবারেই নন-ফাংশনাল (অকার্যকর),” তিনি বলেন।কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এই চিত্রটি আরও খারাপ বলে জানান এই শিক্ষক।

“কর্মক্ষেত্রে আমরা দেখলাম, রাইট-বেজড এনজিও যারা (মানবাধিকার নিয়ে কর্মরত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তারা দুয়েকটি ছাড়া সকলেরই ২০০৯ সালের গাইডলাইনের ইমপ্লেমেন্টেশেন নেই।” “এর কারণ সম্পর্কে আমরা জেনেছি যাদের এই গাইডলাইনটি প্রয়োগ করার কথা তারা কিন্তু এই গাইডলাইনের বিষয়ে জানেনই না।”

“ধরুন একটি গার্মেন্টস যার পাঁচ/দশ হাজার শ্রমিক আছে, তার শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় যে বা যারা আছে তারা হয়তো জানেনই না যে এরকম একটি গাইডলাইন আছে।”

এই নীতিমালা বাস্তবায়নের দিক থেকে বিবেচনা করলে পরিস্থিতি সব মিলিয়ে হতাশাজনক বলে তিনি তার মতামত তুলে ধরেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ/সূত্র:বিবিসি বাংলা

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com