ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হঠাৎ করেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি কোম্পানি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ‘পোটাটা স্পাইসি বিস্কুট’। সবকিছুর শুরু মূলত একটি টুইটকে কেন্দ্র করে। এক ব্যক্তি বিস্কুটটির প্যাকেটের ছবি শেয়ার করে টুইটে লেখেন, ‘এই বিস্কুট সত্যই আসক্তি’। এরপরই চারদিকে এই পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে। তখন দেখা গেলো, লকডাউনের মাঝে কীভাবে এই বিস্কুটটি খুঁজে পাওয়া গেছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কেবল যে সামাজিক যোগাযোগমধ্যম তা নয়; বরং সব জায়গায় পণ্যটির জনপ্রিয়তা বেড়ে যাচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে মিন্ট লউঙ্গ।
সেখানে বলা হয়েছে, টুইটটির পর তাৎক্ষণিকভাবে অ্যামাজনে বিস্কুটটির অর্ডার পরতে শুরু করে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এক সদস্য জানায়, তার বাড়ির পাশে একটি মুদি দোকানে শিগগিরই পণ্যটি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ডানজোর মাধ্যমে পুরো ব্যাঙ্গালুরে বিস্কুটটির প্যাকেট সরবরাহ করা হচ্ছিল।
মুম্বাই ভিত্তিক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রাহুল যাদব বলেন, এটি (বিস্কুট) অত্যন্ত বহুমুখী। স্বাদ দুর্দান্ত। তার এই টুইটের মাধ্যমে অনেকের টাইমলাইনে খবরটি প্রথম ছড়িয়ে পরে। সেও টুইটারের মাধ্যমে বিস্কুটটির খোঁজ পেয়েছে। ২০১৯ সালে রকি সিং ও ময়ূর শর্মার যৌথভাবে পরিচালিত জনপ্রিয় ফুড ব্লগ অনুষ্ঠান ‘হাইওয়ে অন মাই প্লেটে’র একটি পর্বে এটি দেখানো হলে তখন সে জানতে পারে।
প্রথমদিকে ভারতের উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গে বিস্কুটটি জনপ্রিয় হয়। এক দশক আগে থেকে এই অঞ্চলে প্রাণ কোম্পানির পণ্যগুলো জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। বিশেষ করে রাস্ক বিস্কুট, প্যাকেজড ঝাল মুড়ি, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং প্যাকেজযুক্ত জুস। পুরো ভারতে জনপ্রিয়তা অর্জন করা কোম্পানিটির প্রথম পণ্য সম্ভবত ‘পোটাটা স্পাইসি বিস্কুট’।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, পশ্চিমের জয়পুর থেকে শুরু করে দক্ষিণের মঙ্গলুরু পর্যন্ত প্রায় সব মার্কেটেই বিস্কুটটি পাওয়া যাচ্ছে। এটি এখন এমন একটি বিতরণ নেটওয়ার্কের অংশ যা পুরো ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে।
তাহলে আপনারা বাংলাদেশের রিলায়েন্স? এমন প্রশ্নের জবাবে হেসে ওঠেন আহসান খান চৌধুরী। বলেন, না, না, ভারতের বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে আমরা খুবই ছোট প্রতিষ্ঠান। ভারত আমাদের জন্য বড় মার্কেট।
বাংলা৭১নিউজ/এবি