বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: শরীরে পরিষ্কার রক্তপ্রবাহের পেছনে কিডনির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া কিডনির ইলেক্ট্রোলাইট ও ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই কিডনি ভালো রাখতে পারলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসও ভালো থাকে।
কিডনি সুস্থ রাখতে হলে বিশুদ্ধ পানি পানের বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন। পানি কিডনিকে সচল রাখতে ও কিডনির স্বাভাবিক কার্যকলাপে সাহায্য করে। কিডনি সুস্থ রাখতে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষকে প্রতিদিন অবশ্যই অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়া জরুরি। তবে হৃদরোগে আক্রান্তদের কতটুকু পানি খেতে হবে এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
কোমল পানীয়, কফি, চা
আমরা কোমল পানীয়, কফি, চাসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। ক্যাফেইন তাৎক্ষণিকভাবে শারীরে ক্লান্তিভাব দূর করে। তবে পানিস্বল্পতা তৈরি করে। শরীরে পানিস্বল্পতা হলে কিডনি স্টোনের সমস্যা হতে পারেন।তাই সতর্ক হোন।
ধূমপান
ধূমপান একটি ভয়াবহ বদঅভ্যাস।ধূমপানের ফলে ফুসফুস ও ব্লাড ভ্যাসেলকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মনে রাখবেন ধূমপান শুধু নিজের জন্য না অন্যের জন্য ক্ষতিকর।তাই ধূমপান ত্যাগ করুন।
পেইন কিলার
সামান্য ব্যথা হলেই পেইন কিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন। কিডনির কোষের অতিরিক্ত ক্ষতি করে পেইন কিলার। ব্যথা একান্ত অসহ্য হলে তবেই তা খান। মাত্রাতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ বা কোনও অ্যান্টিবায়োটিক কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
লবণ
খাওয়ার পাতে লবণ খান খুব? এ অভ্যাসে রাশ টানুন আজই। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীর থেকে বের করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবণের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি।
প্রস্রাব আটকে রাখা
সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করতে চান না, তাই বাইরে বেরোলে আটকে রাখেন প্রস্রাব? এমন অভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। অনেকক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে তা কিডনিতে চাপ তো ফেলেই, এমনকি, চিকিৎসকদের মতে, এমন অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে বজায় রাখলে অচিরেই নষ্ট হতে পারে কিডনি।
মাছ-শাকসবজি খান
অনেকেই মাংস খেতে বেশ পছন্দ করেন। পাতে মাংস না হয়ে মাছ-শাকসবজি থাকলে রীতিমতো খেপে যান। এমন অভ্যাস কিডনির জন্য বেশ ক্ষতিকর। মাংসে থাকে চর্বি যা কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। মাংসের ফাইবারও পরিমাণে বেশি হলে তা কিডনির ওপর চাপ ফেলে। তাই ঘন ঘন মাংস খাওয়ার প্রবণতাকে বাদ দিয়ে খাবারে মাছ-শাকসবজি রাখলে কিডনি সুস্থ থাকবে।
বয়স চল্লিশ হলে এসব দিকে খেয়াল রাখুন
বয়স যদি চল্লিশ বছর বা তার চেয়ে বেশি হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মিত বছরে অন্তত একবার ডায়বেটিস আর রক্তচাপ পরীক্ষা করাতে হবে। ডায়বেটিস বা রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা কিডনিকে মারত্মকভাবে ক্ষতি করে। এছাড়াও বছরে অন্তত একবার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রসাবের মাইক্রো-এলবুমিন পরীক্ষা করানো উচিত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসকে