বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: একাত্তোরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে করা কিশোরগঞ্জের পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা প্রমাণিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রায় দেন আদালত। সাতটি মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ জনকে অমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই পাঁচজন হলেন শামসুদ্দিন আহমেদ (৬০) ও তাঁর ভাই নাসির উদ্দিন আহমেদ (৬২), গাজী আবদুল মান্নান (৮৮), হাফিজউদ্দিন (৬৬) কে মৃত্যুদণ্ড এবং আজহারুল ইসলাম (৬০) কে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে শামসুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আটক আছেন। অন্য চারজন পলাতক।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মামলার রায় পাঠ শুরু হয়। পরে ১২টা ৪০ মিনিটে এরায় দেওয়া হয়। বলা হয় তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বর মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, একাত্তরের ২৭ অক্টোবর করিমগঞ্জের আয়লা গ্রামে নাসির উদ্দিন ও শামসুদ্দিনের নেতৃত্বেরাজাকার বাহিনী আবদুল বারেক, মো. হাবিবুল্লাহ, শেখ চান্দু মিয়া, শেখ মালেক, আফতাব উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন, আবদুল জব্বার ও আবদুল মজিদকে গুলি করে হত্যা করে।
১১ নভেম্বর নাসিরের নেতৃত্বে রাজাকারেরা আয়লা গ্রামে লুণ্ঠন ও নির্যাতন চালায়। মিয়া হোসেনকে হত্যা করে। একাত্তরের ৭ সেপ্টেম্বর রামনগর গ্রামে শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে রাজাকারেরা তাঁরই সহপাঠী পরেশ চন্দ্র সরকারকে আটক করে নির্যাতন ও হত্যা করে।
২৬ সেপ্টেম্বর কলাতলী গ্রামে নাসির উদ্দিন ও শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে রাজাকারেরা আবদুল গফুরকে অপহরণের পর নির্যাতন করে। খুদির জঙ্গল সেতুর কাছে তাঁকে হত্যা করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস