সংবাদ শিরোনাম
বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সাংবাদিকদের একথা জানান। যদিও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনেরও সংশোধনী দরকার।
এদিকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এবং বিচার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিলম্বে হলেও সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ ভুক্তভোগীদের আশাবাদী করে তুলবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এ পর্যন্ত ২৬ টি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ৬ যুদ্ধাপরাধীর। এসব মামলার অধিকাংশ রায়ে অর্থের প্রভাব খাটিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচার-প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার বিষয়টি উঠে এসেছে। সবশেষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের বিদেশী লবিষ্ট নিয়োগের বিষয়টিও সর্বোচ্চ আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে দাবি উঠেছে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের। সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে জনগণের দাবি উঠেছে। আমরা জনগণের সরকার, এ সরকার আসনে বসেছে যেন জনগণের মুখে হাসি ফোটে।’
‘সম্পত্তির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা-ভাবনা করছি। খুব দ্রুততার সাথে করা হবে বা বিলম্ব হবে তা বলছি না, আমরা চাইবো তাড়াতাড়ি করার।’
দেরিতে হলেও সরকারের এমন উদ্যোগ একাত্তরে ক্ষতিগ্রস্তদের আশাবাদী করে তুলবে বলে মনে করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস
