বাংলা৭১নিউজ,বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখবেন না ডাক্তাররা। তারা বলছেন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা না থাকায় তারা রোগী দেখা বন্ধ করছেন। কেননা তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে কোনো ক্লিনিক মালিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
যশোর শহরের একটি ক্লিনিকে সন্ধ্যায় চৌগাছা উপজেলার সলুয়া গ্রামের মোজাহার আলী ও কোহিনুর বেগম আসেন তাদের ছয় মাসের অসুস্থ শিশুকে ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু ক্লিনিকে আসার পর জানতে পারেন আর কোনো রোগীর সিরিয়াল গ্রহণ করা হবে না। ইতোমধ্যে শতাধিক রোগী সিরিয়াল দিয়েছেন। রোগীর স্বজনরা পরের দিন (আজ মঙ্গলবার) বিকেলে সিরিয়াল দিতে অনুরোধ করলে ক্লিনিক থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে কিছুদিন চেম্বার বন্ধ থাকবে। নাম্বার দিয়ে গেলে করোনা আতঙ্ক কেটে গেলে তাদের ফোন করে জানানো হবে।
পরে মোজাহার আলী কোনো উপায় না পেয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তার শিশুর ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করেন। শুধু তিনি নন, তার মতো একাধিক রোগী ক্লিনিকে ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে ফিরে গেছেন।
ডাক্তাররা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে তারা নিয়মিত রোগী দেখবেন। কিন্তু কোনো ক্লিনিকে বা ব্যক্তিগত চেম্বার করবেন না। যদি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন তবে রোগী দেখার ব্যাপারে বিবেচনা করা হবে।
ভুক্তভোগী রোগীরা বলছেন, সকলেই করোনা আতঙ্কে আছেন। এরপরও যদি ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে রোগীরা সেবা বঞ্চিত হবেন। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্লিনিকে ডাক্তারদের চেম্বার থেকে কমপক্ষে এক হাজার রোগী ব্যবস্থাপত্র নিয়ে থাকেন। বেসরকারি চেম্বারে ডাক্তার রোগী না দেখলে সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়বে। এতে রোগী সেবায় হিমশিম খেতে হবে সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এ ব্যাপারে বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডাক্তার আতিকুর রহমান খান জানান, সুরক্ষা চাই ঠিকই। তবে রোগী সেবা বন্ধ করে নয়। স্বাস্থ্য বিভাগের সকল ইউনিটের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ডাক্তাররা আন্তরিকভাবে সরকারি হাসপাতালে রোগী সেবা দিচ্ছেন। সকল ক্লিনিক মালিককে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চেম্বারে ডাক্তারদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব ওই প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। কেউ যদি রোগী না দেখেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বাংলা৭১নিউজ/এসই