যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে ৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০১তম বিশেষ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান বাজেট উত্থাপন করেন।
বাজেট উত্থাপন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা তাদের মতামত ও সুপারিশ দেন। পরবর্তীতে তা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। একইসঙ্গে রিজেন্ট বোর্ডে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে অংশ নেন।
অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দগুলোর মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে গবেষণা খাতে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও গবেষণা সরঞ্জামাদি খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাজেটের আকার ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ছিল। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে দাঁড়িয়েছে ৯৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা, যা বিগত ১৭ বছরে ৭৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজেট অনুমোদন শেষে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শুধু যবিপ্রবিই নয়, প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ব্যয় কমাতে হয়েছে। তবে যবিপ্রবির নতুন কয়েকটি ভবনের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এ খাত দুটির ব্যয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতের বাজেট বাড়াতে হবে। তিনি একইসঙ্গে বাজেট প্রস্তুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচালকের (হিসাব) দপ্তরসহ সবাইকে রিজেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যুগ্ম সচিব ড. মোর্শেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআর’বি-এর বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এএইচএম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, পরিচালক (হিসাব) মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ