বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে

মৌচাষে লাখোপতি মনিরুল

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সরিষা ফুলের মধু বিক্রি করে মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় করছেন মৌচাষি মনিরুল। তিনি উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১০ সাল থেকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মৌ চাষ করে এখন লাখোপতি তিনি। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ পদ্ধতিতে মৌচাষ করলে ভালো আয় করা সম্ভব। এতে সরিষার ফলনও ভালো হয়।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের দায়েমপুর গ্ৰামে মনিরুলের খামারে গিয়ে দেখা যায়, ২৫০টি বাক্সে মৌচাষ করছেন তিনি। বাক্সের ভেতর থেকে ভোঁ ভোঁ শব্দ আসছে প্রশিক্ষিত মৌমাছির। বাক্সগুলোর ওপরের অংশটা মোড়ানো কালো রঙের পলিথিন ও চট দিয়ে ঢাকা।

 

মৌচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মৌচাষ করে আসছি। গোমস্তাপুর ও নাচোলসহ জেলায় ৫ উপজেলায় আমার মৌচাষের খামার আছে। গত নভেম্বর মাসে আমি ২৫০টি বাক্সে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি করেছি। বাজারে ১২ হাজার টাকা মণ এ মধু বিক্রি করি। আর খুচরা বিক্রি করা হয় ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে।

 

তিনি আরও বলেন, এভাবে মধু চাষ করতে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। আমার ২৫০টি বাক্সে এখন মেলেফিরিয়া জাতের মৌমাছি রয়েছে। এটি তিন ধরনের হয়ে থাকে। পুরুষ, স্ত্রী ও শ্রমিক মৌমাছি। শ্রমিক মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে নিয়ে আসে। আর স্ত্রী ও পুরুষ মৌমাছির কাজ হচ্ছে শুধু বংশ বৃদ্ধি করা। একটি বাক্সে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মৌমাছি আছে।

 

বাক্সের ভেতরে কাঠের তৈরি ফ্রেমের সঙ্গে মোম দিয়ে বানানো। সেগুলো সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। আমি সরিষা ফুলের মধু ছাড়াও আমি কালোজিরা, লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করি। এছাড়াও যদি কোনো বাক্সের মৌচাছি মারা যায় সেগুলো শুকিয়ে বিক্রি করি ৩ হাজার টাকা কেজি দরে।

 

মৌচাষি মনিরুল ইসলামের মৌচাষ খামারের শফিকুল নামে এক শ্রমিক জানান, মনিরুল ভাইয়ের সাথে চলাফেরা করে আমি মৌচাষ করার অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। মনিরুল ভাই অনেক পরিশ্রমী। তিনি অনেক কষ্টে করে তিল তিল করে এই প্রকল্প তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা ১০ জন এ খামারে কাজ করি। আমাদেরকে মাসে ১২ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়। এ থেকেই চলে আমার সংসার।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার ৫টি উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ২১০ হেক্টরে। তবে আপনি যে মৌচাষি মনিরুলের কথা বলছেন, এভাবে মৌ চাষ করলে সরিষার ফলন আরও ভালো হয়। আর এই মৌচাষ একটি ব্যাপক লাভজনক ব্যবসা।

বাংলা৭১নিউজ/সিএফ

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com