বাংলা৭১নিউজ, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসী বাজারের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা সহ আপন ৪ ভাই আহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল রাতে মামলা হয়েছে। আহতদের পিতা গয়জদ্দিন শেখ বাদি হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার দিন শনিবার প্রতিদিনের ন্যায় যুবলীগের ১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর শেখ (৩০), দুই ভাই ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল শেখ(২৩),মিন্টু শেখ(২৭) ও অপর ভাই লিটন শেখ (৩৫) তাদের সন্ন্যাসী বাজারের ‘জুয়েল ইলেকট্রনিক্স’ এর দোকানে দোকনদারী করছিল। দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কেসি চালিতাবুনিয়া গ্রামের মৃত মোসলেম হাওলাদারের পুত্র গফফার হাওলাদারের নেতৃত্বে ২৩/২৪ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি মারপিট ও কুপিয়ে ৪ ভাইকে রক্তাক্ত জখম করে । দুর্বৃত্তরা দোকান তছনছ করে ক্যাশ বাক্স তালা ভেঙ্গে নগদ ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল সহ ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মালামাল লুটে নেয়। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা আলমগীর শেখ, জুয়েল শেখ ও মিন্টু শেখ মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় গয়জদ্দিন শেখ বাদি হয়ে লোকমান বয়াতী, গফফার হাওলাদার, মনির শেখ সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল খায়ের জানান, একটি দোকানের সীমানা বিরোধের জের ধরে ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক চিহিৃত সন্ত্রসী ,ডাকাতি অবৈধ অস্ত্র বহন, জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে অগ্নি সংযোগ ও নাশকতা মামলায় জেল খাটা আসামী আব্দুল গফফারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল এ হামলা চালায়। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি ওই চিহৃত সন্ত্রাসী এলাকায় একটি পেটুয়া বাহিনী তৈরী করে থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখলসহ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও তারা এলাকায় প্রচার করছে ওসি আমাদের লোক যা বলবো তাই হবে।
ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামাল উদ্দিন বলেন, দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে আসামীদের আটক ও মিনি পেটুয়া বাহিনীর মুল উৎপাটন করে ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তারা ।
থানা ওসি রাশেদুল আলম জানান, হামলাকারীরা আসামী গফফার হাওলাদারের বিরুদ্ধে গত জাতীয় নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, নাশকতার মামলা রয়েছে। যা বর্তমানে বিচারাধীন । এ ছাড়াও অন্য এক আসামীর বিরুদ্ধেও সরকারী গাছ চুরির অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে। আসামীদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস