মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন শারীরিকভাবে অসুস্থ এমন ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, যাদের কোমর্বিডিটি আছে, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে আছেন তারা বুস্টার নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা হবে না।
দেশে গত ২৮ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সম্মুখসারির ব্যক্তিরা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। বুস্টার ডোজ পাওয়ার জন্য করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পার হতে হবে।
সোমবার এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, যাদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি বেশি। তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে টিকা কার্ড নিয়ে টিকাকেন্দ্রে যেতে হবে। তাকে বলতে হবে যে তার শারীরিক অসুস্থতাতার রয়েছে। একটা লোকের ক্যান্সার আছে, কিন্তু বয়স ৪০। সে বাদ যাবে কেন? আমরা তাকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
এ বি এম খুরশীদ আলব জানান, টিকার জন্য নিবন্ধন করার সময়ে সব তথ্য নেওয়া হয়েছে। এটা দেখেই নিশ্চিত হবে যে তার কোমর্বিডিটি আছে কি না। আর কেউ যদি নিবন্ধনের সময় তথ্য না দিয়ে থাকে তাহলে সে দেখাবে যে ক্যান্সারে আক্রান্ত। অনেক ধরনের কোমর্বিডিটি আছে।
আমরা চিন্তা করছি যে কোমর্বিডিটিগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ-ক্যান্সার, অ্যান্টিক্যান্সার ড্রাগ খেয়েছে, রেডিয়েশন পেয়েছে, কেমোথেরাপি পেয়েছে, ইমিউন দুর্বল এ ধরনের মানুষগুলোকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছে চাচ্ছি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ