রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পূজামণ্ডপে ব্যাগ-পোটলা নিয়ে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করেছে পুলিশ সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ বিভাগ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি ওবায়দুল কাদের-নানক-হারুনের তথ্য পেলেই গ্রেফতার: র‌্যাব শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭ জনের মৃত্যু খাল-বিল ভরাটের ফলেই নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হয়েছে গাজায় মসজিদ-স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২৪ আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সেনা ও ৮ বিদ্রোহী নিহত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু নেত্রকোণায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯২৭ বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের জন্য হচ্ছে ‘স্পেশাল লাউঞ্জ’ ‘হেলমেট বাহিনীর’ সদস্য মনিরুল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার ‘সাধারণ মানুষ যাতে ইলিশ খেতে পারে, সেই চেষ্টা করতে হবে’ শেরপুরে বন্যায় ৪ মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত

মুজিববর্ষে বাড়ি পাবে ৬৮ হাজার দরিদ্র পরিবার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬৮ হাজার ৩৮টি গ্রামে একটি করে দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবারকে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেবে সরকার। প্রতিটি বাড়িতে খরচ হবে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। চলতি ও আগামী অর্থবছরে এসব বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দুই বছরে বরাদ্দ প্রয়োজন ২ হাজার ৪০ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮০ টাকা।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ বাতিল করে ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণ খাতে ৮৯৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এ প্রস্তাবে বলা হয়, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬৮ হাজার ৩৮টি গ্রামে একটি করে মোট ৬৮ হাজার ৩৮টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে একটি সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সচিব বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিআর-কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থ দিয়ে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের মাঝে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পোঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সহজতর হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এর ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি গ্রামে গৃহহীনদের মধ্য থেকে একটি পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি দেয়া হবে। তাই ৬৮ হাজার ৩৮টি বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে সভায় অতিরিক্ত সচিব (ত্রাণ) বলেন, বাংলাদেশে অতি দরিদ্রতার হার যখন ক্রমশ নিম্নমুখী তখন ভিজিএফ- এর সাহায্য ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে হবে, যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী করবে এবং আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদাশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি ২০১৯-২০ এর সংশোধিত বাজেটে ভিজিএফ- এর অব্যয়িত অর্থ হতে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় অর্থ সংকুলান রেখে অবশিষ্ট অর্থ মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিতব্য বাড়িতে স্থানান্তর করার বিষয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। উপস্থিত সকল অনুবিভাগ প্রধানগণ এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিবের (ত্রাণ) সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন।

এ প্রসঙ্গে সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাজেট) বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় হতে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত অনুমোদিত কর্মসূচির আওতায় স্কিম চিহ্নিতকরণ, প্রণয়ন, যাচাই, সংশোধন, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি’ শীর্ষক পরিপত্র প্রতিপালন সাপেক্ষ, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী টিআর-কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ খাতের বরাদ্দ দ্বারা গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় গৃহনির্মাণের সার-সংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন।

একইভাবে ভিজিএফ কর্মসচির অর্থ ২০১৯-২০ সংশোধিত বাজেট এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিতব্য দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণে ব্যয়ের জন্য অর্থ বিভাগের সম্মতি সাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হবে।

সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে পরিচালন/বিশেষ কার্যক্রম হতে উন্নয়ন ব্যয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রতিটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা হিসেবে মোট ৮৯৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/আরএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com