বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা : মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া পরিচয় দিয়ে ২৫ বছর ধরে চাকরি করছেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম। একই সঙ্গে ওই পদে থেকে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
গত ১০ জুলাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে সচিব বরাবর এই অভিযোগ করেছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকার তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগের আসার পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নোটিশ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়, রাজশাহীর তানোর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন আসাদুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ না করেও মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে প্রায় ২৫ বছর ধরে সরকারি চাকরিতে সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন তিনি। আর ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন তিনি। রাজশাহী মহানগরীর নতুন হড়গ্রাম ডিংগাডোবা গির্জার পূর্ব দিকে কয়েক কোটি টাকার আলিশান বাড়ি বানিয়েছেন। রাজশাহী নগরী ও বগুড়াতে জায়গাজমি কিনেছেন, করেছেন বাগানও।
অভিযোগে আরো বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসাদুল ইসলামের বয়স মাত্র ১২ বছর হলেও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে সে কারণে মুক্তিযুদ্ধ তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করেননি তিনি। রাজশাহী জেলা প্রশাসন দপ্তরে সংরক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়ও তার নাম নেই।
আবেদনে আসাদুলের প্রতারণার জন্য তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং সরকারের কাছ থেকে বেতন হিসাবে গ্রহণ করা সব টাকা ফেরত নেওয়ার দাবি জানান তরিকুল ইসলাম।
এ অভিযোগের প্রতিবাদে আসাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা বা মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে তিনি চাকরি নেননি। তবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা উল্লেখ করেননি।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস