দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রত্যাহারসহ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিবের কী বিশ্রি মন্তব্য, বিষাক্ত কথা। কী করে বের হয়? দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনকে বলে ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচন। তিনি কি গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা, কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি? সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিএনপি বলে ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচন।’
বিএনপি চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ যারা বিদেশ থেকে কথা বলছেন, এ ঘটনায় তারা কী ব্যবস্থা নেয়? এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় নয়? এটা কারা করেছে- বিএনপি ও তার দোসররা।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ভাঙচুর করবে, গ্রেফতার হলে বলবেন মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে! বিনাবিচারে আটক, অভিযোগের অন্ত নেই।
‘আওয়ামী লীগের হাটুর কাঁপুনিও শুরু হয়েছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সব ধরনের আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায়, মরহুম জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে বলেছিলেন হাঁটুভাঙা দল। আমাদের হাঁটু ভাঙেনি, হাঁটু কাঁপছে না।। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির হাটুর কাঁপুনিও শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে ভয় পায় না, আমাদের ঈমানের শক্তি আছে, দেশপ্রেম আছে। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস দেশের জনগণ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা রাজনীতির নামে বড় বড় কথা বলে, মিথ্যাচার করে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশ যাতে আরও কষ্টে নিপতিত হয়, যাতে বাংলাদেশ সক্ষমতার সঙ্গে চলতে না পারে।
তিনি বলেন, আজকে দেশের নির্বাচন শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও খেলা চলছে। চক্রান্ত চলছে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করছে। ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের সে অর্থ আছে। লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয়জন সদস্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। দেশটা আমাদের, মাথাব্যথা তাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি এবং কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
পরে কৃষকলীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ