কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে বরণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সমাবেশে জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মিঠামইন হাওরে পৌঁছার কথা থাকলেও কিছুটা বিলম্বে পৌঁছাবে বলে জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সফর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাসের সামনে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে পৌঁছাবেন। এ সময় সেখান থেকে সেনানিবাসে গিয়ে এর উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে সেনানিবাসের অনুষ্ঠান শেষে মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সেখানে জোহরের নামাজ ও দুপুরের খাবার খাবেন তিনি। পরে একই দিন বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে সুধী সমাবেশে মঞ্চসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকেই হাওরে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই সুধী সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। শুধু নেত্রীর কারণে সুধী সমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ। মাঠের বাইরেও অবস্থান করছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে আরও মানুষের সমাগম হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওর উপজেলা মিঠামইনে সর্বশেষ সফর করেছিলেন ১৯৯৮ সালে। তখন মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী মিঠামইন সফরে আসছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ