রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

মানুষের নিরাপত্তা এখন লাশবাহী গাড়ীতে: খালেদা জিয়া

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, মানুষের নিরাপত্তা এখন লাশবাহী গাড়ীতে। কলাবাগানে মার্কিন রাষ্ট্রদ‍ূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং কাশিমপুর কারাগারের সামনে সাবেক কারারক্ষী রুস্তম আলীকে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা বলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন আরো বলেন, ‘মানুষের নিরাপত্তা, মানুষের অধিকার, ভোটাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র, শান্তি স্বস্তি, নিরাপত্তা এখন লাশবাহী গাড়ীতে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার সহিংস রক্তপাত ঘটানো ছাড়া তাদের টিকে থাকার অন্য কোনো পথ খোলা নেই। দেশ পরিচালনায় যেহেতু জনগণের সমর্থন নেই সেহেতু খুন-জখম টিকিয়ে রাখাকেই তারা পরিত্রাণের পথ মনে করছে। দেশে যেকোনো হত্যাকাণ্ডকে নিজেদের স্বার্থে অতি অবিশ্বাস্য কল্পকাহিনী রচনা করা আওয়ামী লীগের স্বভাবধর্ম। কিছুদিন ধরে দেশব্যাপী বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায় ও বিদেশি হত্যার ঘটনাগুলোতেও তারা একের পর অপপ্রচার চালিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে। ভোটারবিহীন সরকারের এই সমস্ত অপকৌশল মূলত প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া ও আসল অপরাধীদের আড়াল করা। সরকার প্রধান যতই উচ্চস্বরে বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করুন না কেন তাভেল্লা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে জুলহাস মান্নান ও মাহবুব রাব্বি তনয় এবং রুস্তম আলী পর্যন্ত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দায় এই সরকারকেই নিতে হবে।’

বেগম জিয়া বলেন, ‘তিনি যতই উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা করুন না কেন, জাতীয় অর্থনীতির হরিলুট, রাজকোষ চুরির ঘটনা এড়াতে তিনি যতই অপকৌশল করুন না কেন জনগণের দৃষ্টিকে ঝাপসা করতে পারবেন না। তার অপকৌশল বাস্তবায়ন করতে তিনি যতই দূষিত পরিকল্পনা করুন না কেন ভোটারবিহীন সরকারকেই এরজন্য জনগণের নিকট একদিন জবাবদিহি করতেই হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আরো বিপজ্জনক। দেশের মানুষ আতঙ্কে দিন যাপন করছে। ব্যাংকার, শিক্ষক, এনজিও কর্মী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, ছাত্র, নারী, শিশু সহ অনেককেই রাষ্ট্রযন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে জীবন দিতে হয়েছে। সরকার সর্বক্ষেত্রে একচেটিয়াত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে গণতন্ত্রের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক ভারসাম্যকেও চরমভাবে ভেঙ্গে ফেলেছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।

সুতরাং চারিদিকে অরাজকতারই জয়জয়কার। দেশে হত্যা, হানাহানি, রক্তপাত, অপহরণ, গুম, মুক্তিপণ আদায়, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রচণ্ড আধিপত্য বিস্তার করেছে। সুতরাং কর্তৃত্ববাদী শাসন এতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, মানুষের মুখে টু শব্দ শুনলেই সেই মানুষের টুটি টিপে ধরার জন্য ধেয়ে আসে রাষ্ট্রযন্ত্র। মনে হয় আমরা যেন একটি পিশাচ দ্বীপে বসবাস করছি। সুস্থ পরিবেশে গণতন্ত্র চর্চা এখন কেবলমাত্র কবরেই সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণেই ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা উৎসাহিত হয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে, ব্যালট পেপারে বেপরোয়া সীল মারে এবং অস্ত্রের মুখে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়; খুন-জখম সহ নানাবিধ অনাচারে লিপ্ত থেকে দেশকে অতল গহব্বরের দিকে ঠেলে দেয়। তাই দেশে শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ এখন আর স্বাভাবিক মৃত্যুর আশা করে না।’

বেগম খালেদা জিয়া দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু সাংবাদিক মাহবুব রাব্বী তনয় এবং কারারক্ষী রুস্তম আলীকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও জানান।

বাংলা৭১নিউজ/এস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com