রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
৪০ লাখ শ্রমিক পাবে টিসিবির পণ্য, ১ অক্টোবর থেকে বিতরণ তারুণ্যের সামনে স্বৈরাচারের দানবীয় শক্তি খড়কুটোর মত ভেসে যায়: জিএম কাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে আমরা আগস্ট বিপ্লবের প্রতিফলন দেখতে চাই: মেজর হাফিজ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি ফের রিমান্ডে সিডনি পালিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি মীর রেজাউল আলম আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক মুক্তচিন্তার সমাজ চাই : শারমীন মুরশিদ এস আলম গ্রুপের সব স্থাবর সম্পদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই সাংবাদিক শফিক রেহমানের সাজা এক বছর স্থগিত কোনো রকম তথ্য না দিয়ে ফের পানি ছাড়ল ভারত, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বাংলাদেশ-ভারত টেস্টের তৃতীয় দিনও পরিত্যক্ত নাসরাল্লাহ হত্যা, নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের দাবি ইরানের সাইবার সিকিউরিটি আইন দ্রুত সংশোধন: আসিফ নজরুল ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৭৩৫ মামলা, জরিমানা সাড়ে ২৯ লাখ টাকা নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে যুবলীগ নেতার মৃত্যু জ্বালানি-এনবিআর-ব্যাংক সংস্কারে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক-আইএফসি স্বৈরাচারের পতন হলেও প্রেতাত্মারা এখনো আছে: বদিউল আলম বৈরুত বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার হ্যাক করেছে ইসরায়েল

মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে অপহরণ করে নিয়ে গেলেন এমপি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর পুঠিয়ার বিড়ালদহ এসকেডিএস ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ অনেক শিক্ষক ও ছাত্রদের চোখের সামনে এভাবে লাঞ্ছিত হলাম। আমাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছিলো। আমি এর সুবিচার চাই।’

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে এক মাদরাসা অধ্যক্ষকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে মাদারাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এমপি।

জানা গেছে, সোমবার সকালে রাজশাহীর পুঠিয়ার বিড়ালদহ এসকেডিএস ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় সংসদ সদস্যের লোকজন। এর প্রতিবাদে মাদারাসার ছাত্র-ছাত্রীরা বিড়ালদহ বাজারে প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে জোর-জবরদস্তি করে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকি। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’

স্থানীয় লোকজন ও মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা জানায়, মাদরাসার কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ওই এলাকার মঈন, শফিকসহ কয়েকজন একটি মাইক্রোবাস নিয়ে মাদরাসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। এরপর ওই গাড়ি থেকে তিন-চার ব্যক্তি বেরিয়ে এসে অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে তাকে ভয় দেখিয়ে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এনে ওই গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মাদরাসার ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী বিড়ালদহ বাজার সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে। দেড় ঘণ্টা ধরে অবরোধের ফলে রাস্তার উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।

অধ্যক্ষকে এক ঘণ্টার মধ্যে অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্ত করে আনা হবে- পুলিশের এমন আশ্বাসে সড়ক অবরোধ স্থগিত করা হয়।

বিড়ালদহ এসকেডিএস ফাজিল মাদরাসার সভাপতি দেওয়ান আব্দুস সালেক বলেন, ‘এমপি ডা. মনসুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মঈন, শফিকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন একটি গাড়ি নিয়ে এসে অধ্যক্ষকে এমপির বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকাবাসী ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিষয়টি তখন প্রশাসনসহ সবার নজরে আসে। এরপর তারা অধ্যক্ষকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পরে আমরা অধ্যক্ষকে কাশিয়াডাঙা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আব্দুস সালেক বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমরা স্যারকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করা হবে।’

উদ্ধার হওয়ার পর বিড়ালদহ অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ অনেক শিক্ষক ও ছাত্রদের চোখের সামনে এভাবে লাঞ্ছিত হলাম। আমাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছিলো। অন্দোলন দেখে ওসিকে ডেকে বলেছেন, আন্দোলন বন্ধ করতে। আমি বলেছি, আন্দোলন কি আমি বন্ধ করতে পারবো?’

অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি এমপির সঙ্গে দেখা করবো না এমনটা বলিনি। আমি তো রাতেই আসতে চেয়েছিলাম। তারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। তারা আমাকে তুলে নিয়ে গেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এগুলোর প্রতিকার দরকার। এটি শুধু বিড়ালদহ নয়, পুরো বাংলাদেশেরই একটি ক্ষতি করেছে। আমি এর সুবিচার চাই।’

এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কী না জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাকে এখন বুঝতে দেন। দেখি কী করি। আমি তো এখনও ভয়ে আছি। পরে না হয় বুঝেশুনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অপহরণের তথ্যটি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘আমি ওই শিক্ষককে কয়েকদিন থেকে বলে আসছি যে আমার সঙ্গে দেখা করেন। ওই মাদরাসার কমিটি নিয়ে ভেজাল চলতেছে। কমিটির সভাপতি ছিলেন প্রফেসর নওশাদ। তাকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে সভাপতি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলতেছিলো।

‘আমি উনাকে বার বার বলছি আপনি আমার কাছে আসেন, আমি আপনাকে কী বলি একটু শুনে যান। কিন্তু আসে নাই। সে আজকে আসছিল, পরে তার সঙ্গে কথা হলো। আমি তাকে বললাম, কমিটি করে লাভ কী আপনার? আপনার বেতনগুলো স্বাক্ষর হলেই তো হলো। আপনার টেনশনের কোনো কারণ নাই। আমি সমঝোতা করে দিয়েছি।’

এমপি আরও বলেন, ‘অধ্যক্ষ আমার এখান থেকে মিষ্টি ও চা খেয়ে বিদায় হয়েছে। এটা অপহরণ নয়। তাকে অপহরণ করা হয় নি। তিনি ইচ্ছেমতো চলে গেছেন।’

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল অলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষক আপাতত বাড়িতে আছেন। এটি অপহরণ কী না সেটি আমরা তদন্ত করে বলতে পারব।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com