বাংলা৭১নিউজ,(কুমিল্লা)প্রতিনিধি: প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়নি। যার ফলে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ছিনতাই, মাদক সেবন ও নানা অপরাধমূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, ব্যবসায় শিক্ষা ভবনের পেছন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের ডানপাশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পর্যন্ত নেই কোন সীমানা প্রাচীর। ফলে নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও সীমানা প্রাচীর না থাকায় ক্যাম্পাসের ভেতরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। হরহামেশাই বসছে মাদকের আসর।
গত ২৩শে আগস্ট রাত ৮টায় অর্থনীতি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশেদুল আলম সিফাত ও তার বান্ধবী ক্যাম্পাসের ভেতরে ছিনতাইয়ের শিকার হন। বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র দেখিয়ে সিফাতের মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এর আগেও নানা সময় বহিরাগতদের দ্বারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন বহিরাগত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান।
ক্যাম্পাসের মধ্যেই চলে মাদক সেবন ও কেনা বেচা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে দেয়া হলেও তেমন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এসব ঘটনা বেড়েই চলেছ। নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডির পদক্ষেপ নেই বললেই চলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও সীমানা প্রাচীরের পাহাড়গুলোতে বসে মাদকের আড্ডা। সম্প্রতি বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যায়ের শহীদ মিনারে মাদক সেবন করছে এমন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়া সীমানাঘেঁষা পিলারগুলোর কাঁটাতারও উধাও হয়ে গেছে। ফলে অবাধে চলাফেরা করছে বহিরাগতরা।
এসব ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, মাদক সেবনকারী ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। এতে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী কেউ জড়িত থাকলে তার দায় বিশ^বিদ্যালয়ের নেই। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। নতুন প্রকল্প পাশ করিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর