রাতে মাদকাসক্ত শ্যালক শাওন আহমেদ স্বপনের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন ভগ্নিপতি জাফর আহমেদ। ঘুমন্ত ভগ্নিপতিকে ভাঙা শিল-পাটার টুকরো দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান শ্যালক। এমনি অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের সরদার কান্দি গ্রামে শাওন আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) গভীর রাতে সরদার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাফর আহমেদ সরদার কান্দি গ্রামের মৃত শাহ আলম সরদারের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাফর আহমেদের সঙ্গে গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের গরীবেরচর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। বেশ ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিছুদিন আগে ফাতেমা বেগমের ভাই মাদকাসক্ত শাওন তার নিজের ২৬ দিনের সন্তানকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার পরে গতকাল শুক্রবার রাতে শাওন বোন ফাতেমা বেগমের উপস্থিতিতে গরীবেরচর গ্রামে শালিস বৈঠক হয়।
শালিস বৈঠক শেষে বোনের সঙ্গে ভগ্নিপতির বাড়িতে আসে শাওন। রাতে তিনি ভগ্নিপতি জাফরের সঙ্গে একই রুমে ঘুমান। শেষরাতের দিকে শাওন তার ভগ্নিপতি জাফরের মাথায় ভাঙা শিল-পাটার টুকরো দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান।
শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে এসে দেখতে পান জাফর আহমেদ মারা গেছেন। পরিবারের লোকজন রুমে আসার আগেই শ্যালক শাওন আহমেদ স্বপন পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দেন।
সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, ভোরে আমরা সংবাদ পাই সরদার কান্দি গ্রামে খুন হয়েছে। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহর সুরতহাল করেছি। আঘাতের কারণে জাফরের মগজ বের হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। জানতে পেরেছি, নিহতের বড় ভাই এলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ