রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

মহারশীর বালু উত্তোলনে ধ্বংস হচ্ছে পাহাড়, হুমকিতে ব্রীজ ও বাড়িঘর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮
  • ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, শাহরিয়ার শাকির, শেরপুর প্রতিনিধি: ভারত থেকে নেমে আসা শেরপুরের ঝিনাইগাতীর পাহাড়ী নদী মহারশী নদী। এ নদীতেই কোন রকম নিয়ম-নীতি না মেনে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। শতাধিক ড্রেজার বসিয়ে যত্রতত্র উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। যে কারণে নদীর দুই পারের উচু পাহাড় ধ্বসে পড়ছে। ধ্বংস হচ্ছে সামাজিক বনায়নের গাছপালা।

একযুগেও হাইকোর্টের একটি নিষ্পত্তির উদ্যোগ না নেয়ায় এ ধ্বংশলীলা চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পাহাড়ী পার এখনই ভাঙ্গতে শুরু করায় পাহাড়ী ঢল আসলে ব্যাপকভাবে শুরু হবে ভাঙ্গন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পাহাড়ী বাড়িঘর, এ আশঙ্কা স্থানীয়দের।

অপরদিকে সীমান্ত সড়কের সন্ধাকুড়া ব্রীজের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটিও হুমকির মুখে পড়েছে। ব্রীজটির পিলারের কাছ থেকে ৮-১০ ফুট পর্যন্ত বালু সড়ে গেছে। ফলে পাহাড়ী ঢল আসলেই ব্রীজটির পিলারের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এখানকার ছামিউল ইসলাম ফকির নামের এক বালু ব্যবসায়ী ২০০৬ সালে বালু উত্তোলনের জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় বালু মহালের ডাক নেয়। কিন্তু নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্র-তত্র বালু উত্তোলন শুরু করলে জেলা প্রশাসন বালু মহালের ইজারা বাতিল করে।

তিনি এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। আর এ রিটের আলোকেই সে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করে আসছে। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে বিধি নিষেধ থাকা এলাকাতেও সে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে গারো পাহাড় ও জীব বৈচিত্র। আর স্থানীয় প্রভাবশালী মহলসহ বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তার এ অপকর্ম। ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না স্থানীয়রা। প্রভাবশালীদের ভয়ে তারা কিছু বলতেও পারছেননা।

যে কারণে বনের এত ক্ষতি হওয়ার পরেও বনবিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। তার নির্ধারিত স্থানের বাইরে বনবিভাগের জায়াগা কেটে বালু উত্তোলন করলেও তা বন্ধ করা হয়নি।

দীর্ঘ একযুগেও বালু খেকো হিসেবে পরিচিত ছামিউল ফকিরের দায়ের করা রিটের নিস্পত্তির উদ্যোগও নেয়া হয়নি বনবিভাগ, জেলা প্রশাসন ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্যই কোন ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। আবার নোম্যান্স ল্যান্ডের জায়গায় বালু উত্তোলন করা হলেও বিজিবির পক্ষ থেকে বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। এঘটনার মূল হোতা ছামিউল ফকিরের বক্তব্য চাইতে গেলে সাংবাদিকদের সামেন কথা বলতে রাজি না হয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এ ব্যাপারে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে তারা বনমন্ত্রনালয়ের সচিবের নিষেধ আছে, তার অনুমতি ছাড়া কোন বক্তব্য দেয়া যাবেনা। তবে তারা বলেন, আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ড: মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, এটা শুধু জেলা প্রশাসেনর দায়িত্ব না। এটা বনবিভাগ ও বিজিবিরও দায়িত্ব রয়েছে। তিনি জানান, বনবিভাগকে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর আমরা এ বিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেব।

সরকারী কৌশলির কাছে রিট নিষ্পত্তির জন্য আমরা লিখেছি। আর এ বিষয়ে বনবিভাগের মূখ্য দায়িত্ব পালন করা উচিৎ। তবে বন বিভাগের দায়িত্বহীন ভূমিকার জন্য হতাশ স্থানীয়রা। সচেতন মহলের দাবী বালু উত্তোলনের নামে গারো পাহাড়, ব্রীজ ও জনসাধারনের বাড়িঘরকে হুমকির মধ্য ফেলা ঠিক হচ্ছেনা। তাই এখনই সম্পদ রক্ষা করতে বালু উত্তোলন বন্ধ করা প্রয়োজন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com