বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি (লিগো) সনাক্তকরণ এবং মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পর্যবেক্ষণে নিস্পত্তিমূলক অবদান রাখার জন্য এবার পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী। মঙ্গলবার রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স তাদের নাম ঘোষণা করেছে। এরা হলেন, জার্মানির রেইনার ওয়েইস, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি সি ব্যারিশ ও কিপ এস থর্ন। পুরষ্কার বাবদ ৮০ লাখ ক্রোনারের অর্ধেক পাবেন রেইনার ওয়েইস। আর বাকী অর্ধেক ব্যরি ও কিপ ভাগাভাগি করে নেবেন।
নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, একশ বছর আগে আলবার্ট আইনস্টাইন দুইটি কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে সংঘর্ষের মাধ্যমে উদ্ভূত মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো দেখা মেলে মহাবিশ্বের মহাকর্ষীয় তরঙ্গের। এই তরঙ্গটি যুক্তরাষ্ট্রের লিগো সনাক্তকরণে কাছে আসতে সময় নিয়েছে ১৩০ কোটি বছর।
এটি যখন পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় তখন সিগন্যাল ছিল বেশ দুর্বল। তবে এর মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে ঘটে গেছে প্রতিশ্রুত বিপ্লব।
লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি (Laser Interferometer Gravitational-Wave Observatory – LIGO) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত একটি মানমন্দির। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কিপ থর্ন ও রোনাল্ড ড্রেভার এবং ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির রেইনার ওয়েইস ১৯৯২ সালে যৌথভাবে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এতে কাজ করছেন ২০টিরও বেশি দেশের এক হাজার গবেষক। তারা একত্রে ৫০ বছরের পুরনো একটি কাল্পনিক বিষয়কে অনুভব করেছিলেন।
রেইনার ওয়েইস ও কিপ এস থ্রনসহ ব্যারি সি কি-এর মতো বিজ্ঞানী ও নেতৃত্ব প্রকল্পটিকে পূর্ণতা দিয়েছেন এবং মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে দেখার চার দশকের প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস