বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ অর্জন করলো পূবালী ব্যাংক কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পি কে হালদার

মধুমতির ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে নড়াইলের রামকান্তপুর গ্রাম

নড়াইল প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

মধুমতি নদী ভাঙনের ভয়াবহ রূপ দেখছে নড়াইলের রামকান্তপুর গ্রাম। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমিসহ ২০ পরিবারের বসতবাড়ি। অব্যাহত ভাঙনের মুখে এখন পুরো রামকান্তপুর গ্রাম।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা মধুমতি নদী। নদীর অপর পাড়ে চর পড়তে শুরু করেছে। রামকান্তপুর গ্রামের উজানে চর পড়ে মধুমতি নদী বাঁক নিয়েছে।

সেই বাঁকের কারণে স্রোতের ঢেউ সরাসরি গ্রামটিতে এসে আঘাত করছে। এ কারণে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের ভয়ে গ্রামের অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙন পাড়েই বসবাস করছে। 

রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল সরদার জানান, এখন যেখানে মধুমতি নদী রয়েছে সেখানেই ছিল তাদের ফসলের জমি। আমাদের এখানে অনেক পরিবার তিন-চার বারও ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে বসতবাড়ি তৈরি করেছে। অসচ্ছলতার কারণে যারা শহরে বা অন্যত্র যেতে পারেননি, তারা বারবার বসতবাড়ি সরিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছেন। ভাঙন বন্ধ করা না গেছে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে রামকান্তপুর গ্রাম।

রামকান্তপুর গ্রামের অনেকেই জানান, চলতি মাসে তৈয়েব শিকদার, মনির শিকদার, হামিদা বেগম, ছেয়ারন নেছা, তাহের আলী, তোয়াক্কেল মুছল্লি, মাসুদ মুসল্লি, জালাল সরদার, উজ্জ্বল সরদার, কওছার মোল্যা, শাহাবুদ্দিন মোল্যা, শহীদ মোল্যা, মহিউদ্দিন মোল্যা, সোহেল আহম্মেদ মোল্যা, দেলবার মোল্যা, শফি সরদার, বিপুল সরদার ও আলমগীর সরদারের বসতবাড়িসহ গাছপালা মধুমতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে বলেন, গত বছর থেকেই পাউবোর কাজ সীমিত হয়ে গেছে। বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। তাই ভাঙন রোধের কোনো পরিকল্পনা বা প্রকল্প এই মুহূর্তে নেওয়া যাচ্ছে না।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com