বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে খাবার খাওয়ানো, আমান উল্লাহ আমানকে ফল পাঠানো ভিসানীতির একটা পরিণতি। নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য, নিজেদেরকে নিরাপরাধ প্রমাণ করার জন্য এ ধরনের নাটক তারা সাজিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দল এবং রাজনীতিতে কমিটমেন্ট। তিনি তার সারা জীবনের রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই বড় হয়েছেন। আমান উল্লাহ আমানকে প্রমাণ করতে হবে না যে, দল, রাজনীতি ও জনগণের প্রতি তার কমিটমেন্টের কোন ঘাটতি আছে। কারন তিনি নব্বইয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন। তারা অনেক জনপ্রিয় নেতা। সুতরাং এই বিষয়গুলো মানুষ বিশ্বাস করে না।
সবাই বুঝে গেছে, জেনে গেছে যে তারা তাদের রক্ষার জন্য এসব নাটক সাজাচ্ছে।এর আগেও এ রকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং এ নিয়ে নেতাকর্মীরা কোন গুরুত্ব ই দেয় না। কেউ বিভ্রান্তও হয় না। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমগুলো আসল ঘটনা তা বলেছে যে, গনতান্ত্রিক আন্দোলন, একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের জন্য বিরোধী দল যখন আন্দোলন করছেন, তখন এই দানবীয় সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে, গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে তা দমন করতে চায়। ইতিহাস বলে সেটা সম্ভব নয়। এর আগেও অনেক লোককে গ্রেফতার ও নির্যাতন করেছে, ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গেছে। আমানকে, মির্জা আব্বাসকেও নিয়ে গেছে, তখন তো সুস্বাদু আম খাওয়ানো হয়নি, ফুলও পাঠানো হয়নি। এখন কেন করা হচ্ছে, কারন ভিসানীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামা ওবায়েদ, জহির উদ্দিন স্বপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, তাইফুল ইসলাম টিপু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ