খোঁজের দুই দিন পর কুমিল্লার গাবতলী এলাকাসংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে কাজী খোরশেদ আলম (২০) নামের এক বাংলাদেশি যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল রোববার বেলা একটার দিকে ভারতের সীমানার ১০০ গজ ভেতরে লাশটি পাওয়া যায়। আজ সোমবার বিএসএফ লাশটি বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
নিহত খোরশেদের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে খোরশেদকে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে ফেলে দিয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে খোরশেদ নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। গতকাল রোববার তাঁর লাশ পাওয়া যায়। লাশের মাথায়, ঘাড়, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে বিএসএফ লাশ উদ্ধার করে ভারতের ত্রিপুরা সোনামুড়া থানায় নিয়ে যায়। লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে বিজিবি ও বুড়িচং থানা-পুলিশের উপস্থিতিতে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ভাই কাজী নসু মিয়া আজ সোমবার বুড়িচং থানায় সাত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে পাহাড়পুর গ্রামের কিছু লোক খোরশেদকে হত্যা করেছেন।
জানতে চাইলে কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমতিয়াজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।