মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অটোচালক মোহাম্মদ নেকবর হোসেন (২২) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আপন মামা মো. জাবেদ তার সহযোগী নিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জাবেদ ও তার সহযোগী মো. রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি। বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজিদখান সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান রিফাত জানান, নিহত নেকবর কুরআনের হাফেজ ছিলেন। ঘটনার রাতে সর্বশেষ তার মামা জাবেদের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার। সেই ফোনকলের সূত্র ধরে মামা জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কথায় অসঙ্গতী পাওয়া যায়৷ পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগীকে নিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, জাবেদ মূলত অর্থসংকটের কথা বলে টাকা চেয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান হয় ভাগনে নেকবরকে। সেখানে পরিকল্পিতভাবে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা ছিনিয়ে নেওয়া হয় অটোরিকশাটি। পরে সিরাজদিখানের কৃষ্ণনগর এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে মো. শাহাজালালের (২৭) কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন অটোরিকশাটি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় জাবেদ ও রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় মো. শাহাজালালকেও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (১ অক্টোবর) রাতে নিখোঁজের পর সোমবার সকালে সিরাজদিখানের বালুচর খাসকান্দি এলাকায় একটি ইটভাটা থেকে নেকবরের মরদহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার চর গুলগুলিয়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। কোরআনে হাফেজ ছিলেন নিহত নেকবর। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. তোফাজ্জেল হোসেন সিরাজদিখান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ