উত্তর সাগর সংলগ্ন যুক্তরাজ্যের উত্তর-পূর্ব উপকূলে সোমবার একটি ট্যাঙ্কার ও কন্টেইনার জাহাজের সংঘর্ষে একটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ব্রিটিশ কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি হেলিকপ্টার, ফিক্সড-উইং এয়ারক্রাফট, লাইফবোট এবং কাছাকাছি থাকা ফায়ার ফাইটিং সক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গ্রিমসবি বন্দরের প্রধান নির্বাহী ই-মেইলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আহত ৩২ জনকে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে আহতদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজ দুটি হলো- মার্কিন পতাকাবাহী রাসায়নিক ট্যাঙ্কার স্টেনা ইম্যাকুলেট (Stena Immaculate) এবং পর্তুগিজ পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ সোলং (Solong)।
ট্যাঙ্কারে থাকা সমস্ত নাবিক নিরাপদে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্টেনা বাল্কের (Stena Bulk) প্রধান নির্বাহী এরিক হানেল।
এদিকে বিবিসির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, অন্তত একটি জাহাজ থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে।
তবে রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন (RNLI) জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর কিছু নাবিক জাহাজ থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং উভয় জাহাজেই আগুন লাগে।
এই নৌপথটি যুক্তরাজ্যের উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে নেদারল্যান্ডস এবং জার্মানির বন্দরগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যস্ততম নৌপথগুলোর একটি।
রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন পতাকাবাহী রাসায়নিক ট্যাঙ্কার স্টেনা ইম্যাকুলেট ইংল্যান্ডের ইমিংহামের উপকূলে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। অন্যদিকে পর্তুগিজ পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ সোলং তখন রটারডামের পথে যাচ্ছিল। পরে এটিই এসে স্টেনা ইম্যাকুলেটকে ধাক্কা দেয়।
এদিকে নরওয়ের শিপ ইন্স্যুরার স্কুল্ড (Skuld) নিশ্চিত করেছে, সোলং জাহাজের পরিবেশগত ক্ষতি এবং নাবিকদের আহত বা নিহত হওয়ার বীমা তাদের মাধ্যমে করা ছিল।
তবে জাহাজ পরিচালনাকারী জার্মান সংস্থা আর্নস্ট রাস এ ঘটনায় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছে।
রয়টার্স, বিবিসিসহ সংবাদমাধ্যগুলো জানাচ্ছে, উদ্ধার কাজ এবং দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তদন্ত চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ