রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ২৩ বছর পূর্তি উদযাপন ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিরোধীদের শেষ করে দিতে চান মোদী: কেজরিওয়াল কুয়েতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে পাঁচ বাংলাদেশি গ্রেফতার চিকিৎসাহীনতা : বাত-ব্যথায় ‘অল্প’ বয়সেই ‘বৃদ্ধ’ হচ্ছে মানুষ সরকার সিন্দাবাদের দৈত্য হয়ে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রভাবিত হওয়া যাবে না: ইসি রাশেদা শাহবাগ থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ, আটক ১৩ মোহামেডানকে হারিয়ে কিংসের পঞ্চম শিরোপা কেনা সনদের তালিকা প্রস্তুত, জমা দেওয়া হবে কারিগরি বোর্ডে : হারুন বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে দূষণ কমেছে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব : হানিফ পল্টনে কুড়িয়ে পাওয়া শপিংব্যাগে ককটেল বিস্ফোরণে কিশোর আহত তিন সঞ্চালন লাইন চালু করল পিজিসিবি কোথাও জলাবদ্ধতা হলে হটলাইনে কল করতে বললেন মেয়র কুয়েতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংসদ ভেঙে দিলেন আমির চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগাম আমের বাগান বিক্রিতে হিমশিম বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সেতু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির শ্রদ্ধা অ্যামেক্স, সিটিম্যাক্স কার্ড থেকেও ‘অ্যাড মানি’ করা যাচ্ছে বিকাশে

ব্যালট তো ছাপাবেন আপনারা, আমরা আসল ব্যালট দিয়ে ভোট দিতে চাই: ফখরুল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ২২৪ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি।

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ভুয়া ব্যালট পেপার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘সরকারের আরেকটি অপকর্মের আগাম ঘোষণা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আপনারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রায়ই খেয়াল করবেন যেটা উনি করবেন সেটা আগে বলে দেন। চোরাই ব্যালট ছাপানো। ব্যালট তো ছাপাবেন আপনারা (সরকার)। কারণ ব্যালট ছাপানোর অধিকার আপনাদের। আর ছাপানো হয়েও গেছে। আমরা আসল ব্যালট দিয়ে ভোট দিতে চাই। আসলে ভুয়া ব্যালটের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করে আরেকটা অপকর্ম করবার যে একটা আগাম ঘোষণা দিয়েছেন সেজন্য আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) ধন্যবাদ জানাই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। রাজনীতির ব্যাপারে তাদের কোনো চিন্তা নেই, জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপরে তাদের কোনো চিন্তা নেই।

রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা সব চেষ্টা করছে। এই নির্বাচনকে ইতিমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে সরকার। তারা এখন নানা ষড়যন্ত্র করছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, মানুষকে জাগিয়ে তোলা। এই রাষ্ট্র জনগণের, প্রতিরোধ তাদেরকেই করতে হবে। জনগণকেই এই ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে ব্যর্থ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অতন্দ্র প্রহরী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার যে নির্দেশ সেই নির্দেশ অনুযায়ী লড়াই-সংগ্রাম করতে থাকি শেষ পর্যন্ত। মানুষের চোখের যে ভাষা আমরা দেখেছি, মানুষের মধ্যে যে আকুতি আমরা দেখেছি তাতে এই নির্বাচনে অবশ্যই আমরা জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। মির্জা আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংলাপে সকলের সামনে কথা দিয়েছিলেন তফসিল ঘোষণার পর থেকে আর গ্রেপ্তার হবে না। একটা কথাও তার সরকার রাখেনি বা তিনি রাখতে দেননি। গ্রেপ্তার চলছেই। আমাদের সংসদ সদস্য প্রার্থী যারা এখন পর্যন্ত ১৪ জন কারাগারে। আমাদের প্রতিদিন ২-৩ শ’ জন গ্রেপ্তার হচ্ছে। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে।

জামিন নিয়ে বেরুবে আবার গ্রেপ্তার করেছে। আবার নতুন মামলা দিয়ে জেলে ঢুকাচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতনের শেষ নেই। এখন নতুন করে শুরু হয়েছে আমাদের প্রার্থিতা বাতিল। সেটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। তিনি বলেন, আপনারা যদি দেখেন নির্যাতন-নিপীড়ন-গ্রেপ্তারের ঘটনা। কল্পনা করতে পারবেন না, আমরা এখনো টিকে আছি কী করে মাঠে। আমরা টিকে আছি শুধু একটি কারণে সেটা হচ্ছে মানুষের সমর্থন। যেখানেই আমরা গেছি আমাদের জন্য মানুষ বেরিয়ে আসছে। মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা কুমিল্লা গিয়েছিলাম। যে আসনটিতে (কুমিল্লা-১০) বক্তব্য রেখেছি সেখানকার প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী জেলে। আমাদের সেখানে বিকল্প প্রার্থী আবদুল গফুর ভূঁইয়া ও মোবাশ্বের আলী ভূঁইয়া দুজনইও কারাগারে। তারপরেও লক্ষ মানুষ সভায়। চান্দিনায় গেছি, বগুড়ায় গেছি সেখানে মানুষের ঢল দেখেছি।

জনগণের এই শক্তির উপর ভিত্তি করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনকে ঠুঁটো জগন্নাথ আখ্যায়িত করে মির্জা আলমগীর বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটা ঠুঁটো জগন্নাথ। তাদের কোনো ক্ষমতা নেই।  জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, কাদের সিদ্দিকীসহ আমরা সেখানে গেছি। আড়াই ঘণ্টা কথা বলেছি। তারা চুপ করে থাকেন কোনো উত্তরই দেন না। মনে হয়, তারা অসহায়। যাই হোক তারা কিছু করতে পারেন নি। তাদের ক্ষমতা আছে বলে মনে হয় না। এরমধ্যেই আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, এর মধ্যেই আমাদের টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হবে। আন্দোলন করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, একাদশ নির্বাচন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে আমরা কী গণতন্ত্রে থাকবো না পুরোপুরিভাবে একনায়কতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে চলে যাবো। আমাদের স্বাধীনতার চেতনায় যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল সেটাকে কী আমরা রক্ষা করতে পারবো নাকি স্বৈরতন্ত্র রাষ্ট্র ব্যবস্থায় চলে যাবো। আমাদের বাকস্বাধীনতা, আমাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সংবিধানের যে মূল বিষয়গুলো আছে সেগুলোকে রাখতে পারবো কী পারবো না। নির্বাচনে ‘জনগণকে জাগিয়ে তুলতে’ পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। পরে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন পরিচালনায় সব ধরনের পেশাজীবীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভা সূত্র জানায়, প্রথমেই সার্বিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে পেশাজীবীদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি নির্বাচনে পেশাজীবীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। নির্বাচন পরিচালনায় সমন্বিত কমিটির বাইরেও প্রতিটি পেশার সংগঠনগুলোকে প্রয়োজনে আলাদা কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া জরুরিভিত্তিতে একটি মিডিয়া সমন্বয় কমিটি গঠনেরও তাগিদ দেন তিনি। অন্যদিকে পেশাজীবীরা তাদের অবস্থান থেকে নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে নানা পরামর্শ দেন। তারা বলেন, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ভোটারদের কেন্দ্রে নেয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট নিশ্চিত করতে হবে। সাহসী, বিশ্বস্ত ও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালীদের এজেন্ট নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে জোর দেন।

পেশাজীবীরা বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে পাহারার প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রয়োজনে সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্তুতিও রাখতে হবে। ড্যাব মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় পেশাজীবীদের মধ্যে- প্রবীণ সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ড্যাব সভাপতি ডা. প্রফেসর আজিজুল হক, ডা. প্রফেসর এমএ কুদ্দুস, কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী বাবলা, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সদরুল আমিন, প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, প্রফেসর তাজমেরী এস ইসলাম, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর বোরহানউদ্দিন ও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: মানবজমিন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com