বাংলা৭১নিউজ, চট্টগ্রাম : বিপিএলে ঘরের মাঠে হারের জন্য ব্যাটসম্যানদের দায় দিচ্ছেন চিটাগং ভাইকিংসের জহুরুল ইসলাম অমি।
আজ চট্টগ্রামে ঢাকা ডায়নামাইটসের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮ উইকেটে ১২৮ রানের বেশি করতে পারেনি চিটাগং।
লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন জহুরুল। পাওয়ার প্লের পাঁচ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৩ রান তুলতে পারে চিটাগং।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাওয়ার প্লে ঠিকমতো ব্যবহার করতে না পারার আক্ষেপ ঝরল জহুরুলের কণ্ঠে। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি বলেই দল হেরেছে বলে মনে করছেন তিনি, ‘আমাদের সমস্যা ব্যাটিংয়ে। আমার মনে হয়, এই উইকেটে ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করা সম্ভব ছিল। বোলাররা ভালো করেছে। প্রথম ৬ ওভারে আমরা পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে পারিনি। পাওয়ার প্লের ভেতরে একটা উইকেট হারিয়েছি। পাওয়ার প্লের পরের ওভারে আরেকটি উইকেট হারিয়েছি। আজ আমরা একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলেছি, তাই এটা বেশি হয়ে গেছে। বিদেশি দুইজন পেসার নিয়ে খেলেছিলাম। এই জন্য উচিত ছিল আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা। শুরুতে আরেকটু হিসেবি ক্রিকেট খেলা।’
সন্ধ্যায় শিশিরের প্রভাব থাকতে পারে বলে দিনের প্রথম ম্যাচ এক ঘন্টা এগিয়ে দুপুর ১টায় নিয়ে আসা হয়েছে। ম্যাচে তাই শিশিরের কোনো প্রভাব ছিল না বলেই জানালেন জহুরুল। এই উইকেটে ১৪৯ রান তাড়া করাও কঠিন ছিল না বলে মনে করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান, ‘প্রথম ম্যাচে কোনো “ডিউ ফ্যাক্টর” ছিল না। উইকেট একই রকম ছিল। উইকেট খুব ভালো ছিল। ১৭০ রানের লক্ষ্য হলে হয়তো অন্যরকম হতো। এই ধরনের উইকেটে ১৫০ রান তাড়া করা যায়। এটা এতটা কঠিন ছিল না। ১৭০ রানের বেশি হলে তাড়া করার জন্য একটু বেশি হয়ে যায়। কিন্ত উইকেট অনুযায়ী এই রান তাড়া সম্ভব ছিল।’
এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হারল চিটাগং। এর মধ্যে একটি ম্যাচে ৪ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে ৬ রানের সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হয় তারা। হাতের মুঠোয় থাকা আরেকটি ম্যাচও হারে তারা। ওই হারগুলো এখনো পোড়াচ্ছে জহুরুলকে, ‘যে ম্যাচে ৬ বলে ৬ রান লাগতো, উইকেটে ছিল দুইজন সেট ব্যাটসম্যান। উইকেট দুইটা হাতে ছিল। সেই ম্যাচ এই পর্যায়ে তো জিততেই হবে। এত বড় সুযোগ তো আর পাওয়া যাবে না। শেষ ম্যাচে একটা ওভারে অনেক বেশি রান দেওয়ার কারণে আমরা পিছিয়ে গেছি। এই পাঁচটার মধ্যে যদি আমরা দুইটাও জিততাম এত খারাপ হয়তো লাগতো না।’
বাংলা৭১নিউজ/সি