বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীনা বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও চীনে নেওয়ার প্রয়োজন হলে সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছে চীনের বিশেষজ্ঞ দলটি।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসা সক্ষমতা পর্যবেক্ষণের সময় ১০ সদস্যের চীনের চিকিৎসক প্রতিনিধি দলটি এ কথা জানান।
সোমবার সকাল ৯টা থেকেই জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল পরিদর্শন করে তারা জানায়, হাসপাতালে বর্তমান ভর্তি ৪২ জনের চোখেই গুরুতর ক্ষত রয়েছে। তাদের চোখে আটকে আছে রাবার বুলেট। গুলির আঘাতে অনেকই হারাতে বসেছে চোখের আলো। এসব রোগীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে চীনের বিশেষজ্ঞ দল।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী ও হাসপাতালের প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধা দেখছেন তারা। চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তিতে চিকিৎসা সম্ভব হলে দেশেই অপারেশন হবে।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি লি সাওপেং জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা অংশ হিসেবে চীন সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
জানা যায়, চীনের চিকিৎসক দলটি পর্যায়ক্রমে পঙ্গু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসা সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে