দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ভারতের দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার এইচ ই মুহাম্মদ ইমরান। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় এলে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ও বন্দরের ব্যবসায়ীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বেনাপোল কাস্টমস হাউজ, বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন, স্থলবন্দর অফিসসহ বিভিন্ন অফিস ঘুরে দেখেন। এর আগে তিনি দর্শনা ও ভোমরা স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার তৌফিক হাসান, কলকাতা হাই-কমিশনের প্রথম সচিব শামছুল আরিফ, নয়াদিলিহাইকমিশনের কাউন্সিলর শাহেদ আজিম।
পরে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়ানোর লক্ষে, কাস্টমস, বন্দর, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রফতানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অডিটোরিয়ামে। এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বেনাপোল কাস্টমসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন করেন।
কাস্টম হাউজ অডিটোরিয়ামের সভায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এইচ ই মুহাম্মদ ইমরান দু‘দেশের বাণিজ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে স্টেক হোল্ডারগণের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত এর মধ্যে আমদানি-রফতানি, দু‘দেশের নিরাপত্তা ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করণসহ সীমান্তবর্তীবর্তী সব ধরনের সমস্যা-সম্ভাবনা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য তিনি নিজেই সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও স্থলবন্দরগুলো পরিদর্শন করছেন। মাঠ পর্যায় থেকে তার সংগৃহীত অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশ-ভারত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত এবং সুপারিশমালা তিনি দু‘দেশের সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তি-সংহতি, নিরাপদ বাণিজ্য ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সকলের সংশ্লিষ্টতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে বিকালে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে আমদানি-রফতানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের সাথে মতবিনিময় সভায় বন্দরের আমদানি-রফতানিকারকরা হাই-কমিশনারের কাছে বনগাঁ কালিতলা পার্কিং এর আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মো. আজিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, ইন্দো বাংলা চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এবি