বাংলা৭১নিউজ, সিলেট অফিস: লন্ডন থেকে সিলেটগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে জঙ্গি আতংক দেখা দেয়। এতে করে আকাশে প্রায় ৯ ঘন্টা আতংকে ছিলেন বিমানের সবাই। অবশেষে সকালে সাড়ে ১০ টার দিকে ওসমানী বিমানবন্দরে ওই ফ্লাইটটি অবতরন করলে ব্যাপক তল্লাশী চালানো হয়। তবে ওই ফ্লাইটে কোনো নাশকতার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সিলেট ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধায় সিলেটের উদ্দেশ্যে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০২২ ফ্লাইটটি। ফ্লাইটটি হিথ্রো ছাড়ার প্রায় এক ঘন্টা পর হিথ্রো বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ওই ফ্লাইটে জঙ্গি ও বোমা থাকতে পারে বলে বার্তা দেওয়া হয়।
ওই বার্তায় বিমানের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বিমানের পাইলট ও ক্রুরা বিষয়টিকে উড়িয়ে দেননি। তারা তাৎক্ষনিকও যোগাযোগ করেন দেশের সঙ্গে। জরুরি সংবাদটি পাওয়ার পর ফার্স্ট অফিসার আরিফের সঙ্গে আলোচনা করে কেবিন ক্রু চিফ পার্সার ডলিকে বিষয়টি অবগত করেন ফ্লাইট ক্যাপ্টেন ইসমাইল। দুই পাইলটের নির্দেশনায় ডলি তার ক্রুদের নির্দেশ দেন ফ্লাইটের সকল যাত্রীকে নীরবে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে। এর মধ্যে পাইলট ক্যাপ্টেন ইসমাইল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেন। বাংলাদেশ বিমান সূত্র জানায়, তারা প্রথমে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরনের চিন্তা করেছিলেন। পরে সিদ্বান্ত পাল্টে প্রায় ৯ ঘন্টা আকাশে উড়ার পর সকাল সাড়ে ১০ টায় বিমানটি সিলেট ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরেই অবতরন করে। তার আগে পুলিশ ও র্যা বের টিম ছিল বিমানবন্দরে। অবতরনের পরপরই তারা বিমানের ডগস্কোয়াড দিয়ে ব্যাপক তল্লাশী চালানো হয়। পাশাপাশি যাত্রীদেরও তল্লাশী চালানো হয়। তবে সন্দেহভাজন কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি বিমানে। ওসমানী বিমানবন্দরের এক সিনিয়র সিকিউরিটি কর্মকর্তা জানান, হিথ্রো থেকে খবরের প্রেক্ষিতে সতর্কতা গ্রহন করা হয়েছিল।
সিলেটে বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস