মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় ১২৮তম বাংলাদেশ পানিতে ডুবে দুই সন্তানের মৃত্যু, শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা ঘর পাচ্ছে আরও ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবার বাংলাদেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে চারগুণেরও বেশি বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়টি আবার সচল করা হবে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের দুই বছরের কারাদণ্ড নিষেধাজ্ঞায় তাদের অপকর্ম থামেনি: ফখরুল ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা চট্টগ্রামে নির্বাচনে সংঘর্ষ, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন উপজেলা নির্বাচন : স্ট্রোক করে মারা গেছেন ১ ভোটার ও ১ আনসার ‘ভাইদের কোনো লাইসেন্স ছিল প্রমাণ দিতে পারলে শাস্তি মেনে নেব’ ভূতের গলিতে নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু পুলিশি বাধায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে যেতে পারেনি গণসংহতির মিছিল ‘আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই’ ভিসানী‌তির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র কুড়িগ্রামে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক ১, ১৫ দিনের সাজা রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে মার্কিন ভূমিকার অভিযোগ অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের গোটা বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে আছে : রিজভী শরীয়তপুরে চেয়ারম্যানপ্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় ১০ সাংবাদিক আহত

বিপাকে কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার বোরো কৃষক

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৯ মে, ২০১৬
  • ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আধা-পাকা ফসল তলিয়ে যাওয়ায় একদফা ক্ষতির পর এবার ধানের নিম্ন মূল্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কিশোরগঞ্জের বোরো আবাদকারীরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ধানের মূল্য অনেক কম হওয়ায় লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচই উঠে আসছে না। এর ফলে বছরে একটি মাত্র ফসলের আবাদকারী হাওর এলাকার কৃষকদের দিন কাটছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাব মতে, চলতি বছরের মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ১২ হাজার একর জমির আধা-পাকা বোরো ধান। যদিও চাষিদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পরিমাণ আরো কয়েক গুণ বেশি।

প্রধান তিনটি হাওর উপজেলা ইটনা, মিটামইন ও অষ্টগ্রামেই ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

এই ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বেঁচে যাওয়া পাকা ধান কাটার কাজে এখন চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন হাওর এলাকার কৃষকরা। কিন্তু সেই ধান বিক্রির জন্য কৃষক যখন বাজারে নিয়ে আসছেন, হতাশ হয়ে পড়ছেন ধানের দাম শুনে। কারণ, ছয় মাস পানির নীচে থাকা হাওর এলাকায় বছরের একমাত্র ফসল এই বোরো ধান প্রাপ্ত অর্থই বেশিরভাগ কৃষকের সারা বছরের জীবিকার একমাত্র উৎস।

ইটনা উপজেলার শিমুলবাক গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান বলেন, সার, বীজ, সেচ, শ্রমিকের মজুরি সব মিলিয়ে বোরো চাষে আমাদের যে খরচ হয়েছে আর বাজারে ধানের যে দাম- এতে করে আমাদের আর ভবিষ্যতে ধান চাষের উপায় নাই। ধান চাষ করে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’

কৃষক কেনু মিয়া বলেন, ‘বর্তমান বাজার দরে আমাদের লাভ কিছুই হবে না, পুরোটাই ক্ষতি।’

কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার বোরো ধান বেচা-কেনার অন্যতম প্রধান হাট হচ্ছে করিমগঞ্জ উপজেলার চামটা বন্দর। দূর-দূরান্ত থেকে কৃষকরা নৌকা বোঝাই করে ধান নিয়ে আসছেন এখানকার মোকামে । আর এখান থেকে পাইকারী ধান কিনে মহাজনরা তা ট্রাকে করে তা নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জেলার ধানের চাতালে।

চামটা বন্দরের মোকাম মালিকদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা প্রতিমন ধান কিনছেন ৫০০ থেকে ৫৩০ টাকা দরে। বর্তমান বাজার দরে এক একর জমিতে ৬০ মন ধান উৎপাদন হিসেবে ধরলে, তা বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছেন ৩০হাজার টাকার কিছু বেশি। এ ক্ষেত্রে মোকাম মালিকদের বক্তব্য হচ্ছে, চাতাল মালিকরা বেশি দামে না কিনলে তাদের পক্ষেও কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে ধান কেনা সম্ভব না।

চামটা বন্দরের একজন মোকাম মালিক আব্দুল হক জানান, বিভিন্ন জেলার চাতাল মালিকরা এর চেয়ে বেশি দামে ধান না কেনায় তারা কৃষকদের ক্ষতি হলেও বেশি দামে ধান কিনতে পারছেন না।

ধান কেনা ও বেচা নিয়ে এখন চামটা বন্দর সরগরম থাকলেও কৃষকদের মুখে রাজ্যের আঁধার।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com