বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন চালু হবে এ মাসেই সাবেক সেনা সদস্য হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন ইতা‌লি ভিসাপ্রার্থীদের যে বার্তা দি‌লেন পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা ময়মনসিংহে ‘চাঁদাবাজ’ রানাসহ ৬ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার নিরাপদ খাদ্য পেতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে ছয়দিন বন্ধ থাকবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর টি-টোয়েন্টি থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণা শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালেন ছেলে জয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যের পদত্যাগ জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী, কারামুক্তিতে বাধা নেই বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মিলার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে: ড. ইফতেখারুজ্জামান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসারদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স শুরু দুর্গাপূজার ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন: ফারুক মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনেই চলবে হেলিকপ্টার! তাপসী তাবাসসুমকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ নেত্রকোণায় লাখ মানুষ পানিবন্দি, এক মৃত্যু আন্দোলন দমাতে অস্ত্র ব্যবহার, যুবলীগ কর্মী আরাফাত গ্রেপ্তার

বিদেশি সাক্ষীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে খালেদার আবেদন

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। তিন সাক্ষীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে বুধবার (১১ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আবেদন করেন।

রিভিশনে তিন বিদেশি কর্মকর্তাকে সাক্ষ্য দিতে আনার অনুমতি বাতিল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান বিদেশি সাক্ষী আনতে আবেদনটি মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর মধ্যে একজন এফবিআই কর্মকর্তা ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথ। আর দুজন কানাডার পুলিশ কর্মকর্তা কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ।

এই তিনজনকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করতে সমন ইস্যুর আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন তিনি নিজেই।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আমিনুল ইসলাম এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সারাদেশের সব মামলায় শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু তার আবেদন করার এখতিয়ার নেই। আমরা এর বিরোধিতা করছি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত ১৯ মার্চ এই মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর ২৩ মে আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম। তবে চার্জগঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তাই ২২ আগস্ট এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরে ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

নাইকো মামলায় অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম। এরমধ্য প্রথম তিনজন পলাতক।

আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদকের করা অন্য দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান তিনি।

১৭ সেপ্টেম্বর নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন বলেন, তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বিশেষ জজ আদালত অনুমতি দিয়েছেন। আর নাইকো মামলার তদন্ত চলার সময় বিদেশে এফবিআই ও কানাডিয়ান পুলিশ তদন্ত করে। তারা তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে পাঠিয়েছে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্সের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, সেটিসহ ২০১৮ সালে একটি আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে তাদের নাম ছিল না। পরে নামসহ সম্পূরক দরখাস্ত দিয়েছিলাম। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেন। এখন একজন আমেরিকা থেকে আসবেন। আর দুজন কানাডা থেকে আসবেন।

কবে আসবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো দিন ঠিক হয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এক প্রশ্নে বলেন, তারা তো কারো পক্ষে বলবেন না। তদন্তে যা পেয়েছেন, তা বলবেন। তাদের তদন্ত ২০১৮ সালেই এফিডেভিট করে আদালতে জমা দিয়েছি।

এর আগে ওইদিন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান বিদেশি তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com