বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বেশি নির্যাতন করে আরাকান আর্মি গাজীপুরের চন্দ্রায় মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রাতে ফোন পেয়ে বের হন বাবু, সকালে মিলল মরদেহ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সচিবালয়, বন্ধ দাপ্তরিক কাজ সচিবালয়ে লাগা আগুনের কারণ খুঁজতে কমিটি গঠন হাসিনার দালালরা অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিল: সারজিস ৪০ কোটির মধ্যে ৩০ কোটি বই ছাপানো বাকি কর্ণফুলীতে ভেসে উঠলো নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক ধরা পড়ল শিক্ষার্থীদের হাতে সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের ‘অতর্কিত হামলায়’ ১৪ নিরাপত্তা সদস্য নিহত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি

বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করায় খালেদা জিয়ার উদ্বেগ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি নামক ক্যাফেতে দুস্কৃতিকারীদের নির্মম রক্তাক্ত অভ্যুত্থান দেশে বিরাজমান দুঃশাসনেরই বহিঃপ্রকাশ।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি একথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীদের কর্তৃক কয়েকজন বিদেশি নাগরিকসহ অন্তত বিশ জিম্মিকে হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রক্তাক্ত পরিস্থিতি নজীরবিহীন।’

এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গতরাত থেকে শুরু হয়ে আজ সকাল পর্যন্ত দুস্কৃতিকারীদের কর্তৃক সংঘটিত প্রাণবিনাশী ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ফলে সৃষ্ট অগণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মিলে মিশে দেশে এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে যা পৈশাচিক স্বৈরতন্ত্রে অধঃপতিত হয়েছে। যার বিকৃত প্রতিক্রিয়া সারাদেশে ফুটে উঠতে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত রাতের দুস্কৃতিকারিদের নির্মম রক্তাক্ত অভ্যূত্থান দেশে বিরাজমান দুঃশাসনেরই বহিঃপ্রকাশ।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা বারবার উগ্রবাদীদের অমানবিক রক্তঝরা অশুভ পরিকল্পনা মোকাবেলা করার জন্য দলমত নির্বিশেষে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের সেই আহবানকে উপেক্ষা করে বরং বিএনপিসহ বিরোধী দলের প্রতি বিষোদগারেই ব্যস্ত থেকেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত জঙ্গি দমনে কোনো ধরনের ইতিবাচক তৎপরতা দেখানো তো দূরে থাক, বরং বিএনপিকে অভিযুক্ত করতে ব্লেমগেম খেলতে গিয়ে সরকার জঙ্গিদের স্বাস্থ্যবর্ধন করেছে।’

‘কিছু দিন আগে জঙ্গি দমনের নামে সরকারি অভিযানের যে ভয়াবহ রুপ জনগণ দেখলো, তাতে আমরা তখনই বলেছিলাম-সরকারের এই নৃশংস ক্র্যাকডাউন বিএনপির বিরুদ্ধে ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু সরকার এই নির্মম পুলিশী অভিযান চালানোর সময় দেশব্যাপী প্রায় ১৬,০০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে চার হাজারেরও অধিক ছিল কেবল বিএনপির নেতাকর্মী। বাদ বাকি অধিকাংশ মানুষই ছিল নিরীহ জনসাধারণ,’ বলেন খালেদা জিয়া।

তিনি আরো বলেন, ‘রমজানের মাসের শুরু থেকেই সরকারের অভিযানে গ্রেপ্তার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা থেমে থাকেনি। সরকার প্রধান ও সরকারের লোকজন জঙ্গীবাদের দমনের নামে বেআইনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকে জায়েজ করে বক্তব্য রেখে যাচ্ছে। এতো কিছুর পরও জঙ্গীদের বিবেকবর্জিত অপতৎপরতা থামাতে পারেনি সরকার।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল ঝিনাইদহে শ্যামানন্দ দাস নামে একজন সেবায়েতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। আইএস এর দায় স্বীকার করেছে। সুতরাং গতকাল সকালে হিন্দু পুরোহিত শ্যামানন্দ দাসকে কুপিয়ে হত্যা এবং রাতে গুলশানের লোমহর্ষক মানুষ জিম্মি করে হত্যার ঘটনায় প্রমানিত হলো-সরকারের সপ্তাহব্যাপী ক্র্যাকডাউনের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপি দমন, জঙ্গীবাদ দমন নয়।’

খালেদা জিয়া দুস্কৃতিকারীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত শ্যামানন্দ দাসের আত্মার শানিত্ম কামনা ও পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘গণমাধ্যম ও সংবাদ কর্মীদের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানা নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা জারি রেখে গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে গিয়ে দেশে অমানবিক সভ্যতা বিধ্বংসী শক্তির উত্থান ঘটেছে। দেশে বিদ্যমান বহুমাত্রিক স্বৈরতান্ত্রিকতার কারনেই আনাচে কানাচে উগ্রবাদ বাসা বেঁধেছে।’

তিনি বলেন, ‘গুলশান রেস্টুরেন্টের ঘটনা উগ্রবাদী দুস্কৃতিকারিদের কর্তৃক বিদেশি নাগরিকসহ বিশ জনকে জিম্মি করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদেরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ফলে সৃষ্ট প্রাণবিনাশী ঘটনা অন্ধ হিংস্রতা ও বিকৃত রুচির পশুপ্রবৃত্তি।’

খালেদা জিয়া আবারো সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘এই নিষ্ঠুর বিবেকবর্জিত গণতন্ত্র ও সভ্যতা বিরোধী উগ্রবাদী শক্তিকে নির্মূল করতে দলমত নির্বিশেষে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টাকে কাজে লাগাই। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এখনই এই উগ্রবাদী শক্তিকে দমন করতে না পারলে এরা দীর্ঘতম যুদ্ধ চালিয়ে দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা বজায় রাখা কঠিন করে তুলবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা বাহিনীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যেসমস্ত সদস্যরা অটুট মনোবল ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রক্তাক্ত জিম্মি ঘটনাকে মোকাবেলা করেছেন সেজন্য আমি দেশবাসী ও আমার দলের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

খালেদা জিয়া গুলশানের রক্তাক্ত ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভাইয়েরা যারা নিহত হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।

গুলশানে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ও কুটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান খালেদা জিয়া।

খালেদা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই সহিংস ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দুস্কৃতিকারিদের শাস্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর হবে এবং এদের নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে তা নির্মূল করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সক্ষম হবে।’

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com