সালমান খানের সঙ্গিনী বদলায়। তবে যে সঙ্গী তাঁর সঙ্গ কখনোই ছাড়ে না, তার নাম হলো ‘বিতর্ক’। সম্প্রতি শুরু হয়েছে নতুন এক বিতর্ক, ভারতে এত এত কিংবদন্তি ক্রীড়াব্যক্তিত্ব থাকতে সালমানকে কিনা বানানো হলো অলিম্পিকের দূত! এ নিয়ে সালমানের দিকে একের পর এক তির ধেয়ে যাচ্ছে। এ সুযোগে সালমানের সাবেক দুই সঙ্গিনীও কিন্তু খোঁচা মেরেছেন। ক্যাটরিনা কাইফ বলেছেন, ‘সালমান আর বিতর্ক? এ আর নতুন কী!’ বলিউডের অনেকেই মনে করছেন, সালমানের সঙ্গে অলিম্পিকের কোনো যোগসূত্র নেই। একটি অনলাইন পিটিশনও খোলা হয়েছে, যেখানে সবাই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, সেই পিটিশনে নাকি সই করেছেন তাঁর আরেক সাবেক প্রেমিকা ঐশ্বরিয়া রাইও!
এসব দেখেই সালমানের বাবা সেলিম খান লম্বা ফিরিস্তিই দিলেন ছেলের ক্রীড়া-প্রতিভার। জানালেন, তাঁর ছেলে একই সঙ্গে সাইক্লিস্ট, সাঁতারু, কুস্তিগীর আর ভারোত্তোলক। কোন খেলাটা সালমান পারেন না! সালমানও এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘জীবনে অনেক খেলাই খেলেছি। কোনোটাই খারাপ খেলিনি। সমস্যা হলো, যখনই কোনো খেলায় সাফল্য পেয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে ওটার ব্যাপারে আগ্রহ চলে গেছে। অন্য কিছু নিয়ে মেতেছি।’
কোনো একটা খেলায় মন দিলে হয়তো বড় কোনো ক্রীড়াবিদ হতে পারতেন এই অভিনেতা। কিন্তু এই পরিচয় নিয়েই তিনি অলিম্পিকের দূত হচ্ছেন না। সালমানের কথা, তিনি তো আর মাঠে নেমে খেলবেন না যে তাঁকে দূত হওয়ার জন্য ক্রীড়াবিদ হতেই হবে। দূত হিসেবে তাঁর দুটি কাজ—ভারতের অলিম্পিক দলের খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করা, আর এই আসরটি নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ানো। আসলে অন্য অনেক দেশের মতো ভারতে অলিম্পিকটা খুব বেশি আগ্রহ নিয়ে দেখা হয় না।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটা তো এরই মধ্যে প্রায় সফল। অলিম্পিক এরই মধ্যে ভারতের ‘হট ইস্যু’! টিওআই।