বাংলা৭১নিউজ, বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে কাস্টমস ওয়েব্রীজ থেকে বিজিবি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য সহ বন্দর থেকে সব ধরনের মালামাল খালাশ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। টানা দ ুদিন পর আমদানি রফতানি চালু হওয়ায় বন্দরে ফিরে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্য।
সোমবার দিবাগত রাতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের অফিসে চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় বন্দর থেকে বিজিবি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বেনাপোল বন্দরে আমদানীকৃত পন্য মাপার ওয়েইং স্কেলে বিজিবি প্রত্যাহারের দাবিতে গত রোববার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানী রফতানী বানিজ্য সহ পন্য খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। আমদানী রফতানী বন্ধ থাকায় দুদেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়ে শত শত পন্য বোঝাই ট্রাক। বৈধ রুটে আমদানিকৃত পণ্যচালানে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রমের বাইরে বিজিবির কাষ্টমস আইন বহির্ভূত হস্তক্ষেপের ফলে বেনাপোলের সামগ্রিক বাণিজ্য ও রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান। দ ুদিনে ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
আজ সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩২০ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে ভারত থেকে। ভারতে ১২০ ট্রাক মালামাল রফতানি হয় বিকেল পর্যন্ত।
বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের এমদাদুল হক লতা জানান,বিভাগীয় ট্রাস্কফোর্সের সাথে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ফলপ্রসু বৈঠকে বন্দর থেকে বিজিবি প্রত্যাহার করে নেয়ায় ব্যবসায়ীরা অনির্দিস্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আইন এবং বিভিন্ন সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্দেশনা বিজিবি উপেক্ষা করে বন্দর ও কাস্টমস ওয়েইং স্কেলে বসে আমদানি পণ্যচালানের ওজন পরিমাপ করা শুরু করলে বিজিবি ,কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ সৃস্টি হয়।
তবে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কার্যক্রম সম্পাদনে উল্লিখিত আইন, প্রজ্ঞাপন ও বিধি বিধান উপেক্ষা করে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রমে বিজিবির এহেন কর্মকান্ড সম্পূর্ণভাবে আইন বহির্ভূত।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে; কর্নেল আরিফুল হক জানান, স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বিজিবি বন্দরে কাস্টমস ওয়ে ব্রীজে তদারকির দায়িত্ব গ্রহন করে। কাস্টমস এর কাজে হস্থক্ষেপ করার কোন ইচ্ছা বিজিবির নেই।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস