বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ বাংলাদেশে সহিংসতা আরো বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিন্স।
একই সঙ্গে ‘সুষ্ঠু তদন্তের মাধমে’ অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওয়াটকিন্স এসব কথা উল্লেখ করেন।
এতে বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতার সহিংসতা দিন দিন বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেছেন রবার্ট ওয়াটকিন্স।
বাংলাদেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের একের পর এক হত্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অধিকারকর্মীদের ওপর এ ধরনের হামলা বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ তারা দেখতে পাচ্ছেন না।
জুলহাজ মান্নান এবং মাহবুব তনয় একই ধরনের সহিংস জঙ্গি হামলার সর্বশেষ শিকার বলে জাতিসংঘ মনে করছে, বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতার সহিংসতা বেড়েই চলেছে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের সঙ্গে যাদের মতের অমিল রয়েছে- তারাই এর শিকার হচ্ছে। দুই দিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাও এ ধরনের একটি ঘটনা ছিল।
রবার্ট ওয়াটকিন্স বলেন, সব মানুষেরই সন্ত্রাস, ভীতি এবং বৈষম্যহীন পরিবেশে বাঁচার অধিকার রয়েছে বলে জাতিসংঘ বিশ্বাস করে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব নৃশংস সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সব রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বেরই তার নিন্দা জানানো উচিত বলে জাতিসংঘ মনে করে।
তিনদিনের ব্যবধানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী এবং ইউএসএআইডির কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যার পর জাতিসংঘের এই প্রতিক্রিয়া এলো।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকায় জুলহাজ (৩৫) ও তনয়কে (২৬) বাসায় ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয়। জুলহাজ ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রাক্তন প্রটোকল অ্যাসিসটেন্ট। তিনি সমকামীদের অধিকারের পক্ষের সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন।
এর দুইদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে একই কায়দায় খুন করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এমএম