নরসিংদীতে বিএনপির ঘরোয়া সভা চলাকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বোমা হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করেছে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। এসময় কার্যালয়ের আশেপাশের বিভিন্ন দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কার্যালয়ের সামনে রাখা এক গণমাধ্যমকর্মীর মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে নরসিংদীর চিনিশপুরে বিএনপির কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্রে জানা য়ায়, আগামী ৮ মার্চ বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকন, বেলাবো মনোহরদী আসনের সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরোয়া প্রস্তুতি সভা করছিল। এসময় হঠাৎ বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা মাইনুদ্দিন ভূইয়ার নেতৃত্বে একদল পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিএনপি অফিসে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় বিএনপি কার্যালয়ের গেইট ভাঙচুরের পাশাপাশি দফায় দফায় ককটেল ও গুলিবর্ষণ করা হয়। পরে জেলাখানা মোড়ে হাসান নামে এক সিএনজি চালককে কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া গণমাধ্যমকর্মীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং কার্যালয়ের আশেপাশের বিভিন্ন দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এর আগে বিএনপির কার্যালয়ের প্রধান গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয় পদ-বঞ্চিত ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা। এরপর সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী এসে বিকল্প উপায়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এর আগে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকন দাবি করেন, পুলিশের প্রতক্ষ্য মদদে কিছু সন্ত্রাসী বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ওই সময় তারা বিএনপির কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। হামলার পর পুলিশ সন্ত্রাসীদের নিরাপদে ফিরে যেতে সাহায্য করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা কি রাজনীতি করতে পারবো না? মিটিং করতে পারবো না? কোর্টে হাজিরা দিতে আসতে পারবো না? যেখানে যাচ্ছি সেখানেই আমাদের উপর হামলা হচ্ছে। আমাদের উপর হামলা হলেও পুলিশ আমাদের মামলা নেয় না। কেন্দ্র ছাত্রদলের কমিটি দিয়েছে। সেখানে জেলা বিএনপি কি করার আছে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির কিছু নেতা বিএনপিকে ধ্বংসের কাজে লিপ্ত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ