বাংলা৭১নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নির্যাতনের ঘটনায় নানা ব্যর্থতা ও অভিযোগের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ওসি মুস্তফা কামাল পাশাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বুধবার তাকে প্রত্যাহার করে সদর পুলিশ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিজয়নগর থানাধীন ইছাপুরা উত্তর ইউনিয়নের আড়িয়াল গ্রামের ৩০টি সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নির্যাতনের ঘটনায় থানা পুলিশের নিস্ক্রিয়তা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে একজন খুন হওয়া এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে ওসি মুস্তফা কামাল পাশাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৭ মে নির্বাচনের পরপরই এক মেম্বার প্রার্থীকে ভোট দেয়া-না দেয়ার বিরোধের জের ধরে ইছাপুরা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মো. ইয়াকুব আলীর সমর্থকরা অন্তত ৩০টি সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়।
সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, এ ঘটনায় পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
অপরদিকে, নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে গত ১৬ মে প্রতিপক্ষের হাতে নূর চৌধুরী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী বিজয়নগরের বিভিন্ন গ্রামে আশংকাজনক ভাবে মাদকের বিস্তার লাভ করায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওসি কামাল পাশার উপর বিরক্ত ছিলেন।
তবে, ওসি কামাল পাশা জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। জনস্বার্থে তাকে বদলী করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, নানা অভিযোগের কারণেই তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশের বদলী একটি চলমান প্রক্রিয়া।
তবে সংখ্যালঘু নির্যাতন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া, নির্বাচন পরবর্তী হত্যাকান্ড সহ বেশ কিছু অভিযোগের কারণেই তাকে বদলী করা হয়েছে। ‘আমরা যেভাবে চাচ্ছিলাম সেভাবে তিনি থানা চালাতে পারছেন না বলেই এ ব্যবস্থা’, জানান পুলিশ সুপার।
বাংলা৭১নিউজ/এআর