বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবার পর যে সকল বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম। বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ীযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরী পোশাক শিল্পকে বাধাগ্রস্থ করে চক্রান্ত হয়েছিল। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধা গ্রস্থ করতে শিশু শ্রম বন্ধ এবং রপ্তানি ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জেরে মুখে ফেলে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ সফলতার সাখে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এডিগয়ে এসেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙ্গালী বীরের জাতি, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে জানে। উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবার পর যে সকল বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে, সেগুলো মোকাবেলা করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে উইরোপিয়ন ইউনিয়নের দেয়া জিএসপি সুবিধা জিএসপি প্লাস নামে পাওয়া যাবে। যেসকল দেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে না, সে সকল দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। এতে করে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আরো বেশি বিশ^ বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতার জন্ম দিনে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণের সংবাদ বাঙ্গালী জাতির জন্য গৌরভের ও মর্জাদার। একসময় যারা বলেছিল- বাংলাদেশ হলো তলাবিহীন ঝুড়ি, বিশে^র দরিদ্র দেশের মডেল হবে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ বিশে^র মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন বড় বড় প্রকল্প নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঔষধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি খাত হবে। বিশ^বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশ ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্ত শিথিল করে ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্নত বিশে^ ঔষধ রপ্তানির সুযোগ পাবার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বাকী সময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর বিশ^বাসীর আস্থা অনেক বৃদ্ধি পাবে, দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। বিশ^বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পেপারলেস ট্রেডের জন্য বিশ^বাণিজ্য সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বিশ^বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলো জ¦ালাও পোঁড়াও এর রাজনীতি পরিহার করে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় এসেছে বলে মনে করি। আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকবে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস