শপিংশল ও দোকানপাট রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে খোলার ঘোষণায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে যাত্রীর চাপে জরুরি যানবাহন পারাপারও ব্যাহত হচ্ছে।
মাত্র পাঁচটি ফেরি দিয়ে পারাপার করায় অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে চরমভাবে। ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে। কোথাও দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ।
মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্পিডবোট ও ট্রলারে পারাপার হচ্ছে। ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশাল থেকে ৫০০-৬০০ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫০০ টাকা, খুলনা ৭০০ টাকা, মাদারীপুর ২০০ টাকা, বাগেরহাট ৬৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনই কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, ছয়শ টাকা দিয়ে অনেক কষ্টে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছেছি। এখান ফেরির জন্য অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি।
বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার সালাউদ্দিন মিয়া জানান, লকডাউনের কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে মাত্র ৫-৬টি ফেরি দিয়ে জরুরি পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে। কিন্ত আজ যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন পারাপারে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে